রাজাকার হাসান আলীর ফাঁসি
মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সৈয়দ হাসান আলীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক।
ট্রাইব্যুনালে পলাতক হাসান আলীর বিরুদ্ধে ২৪ জনকে হত্যা, ১২ জনকে অপহরণ ও আটক এবং ১২৫টি ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মধ্যে পাঁচটি প্রমাণিত হয়। এর দু’টিতে তাকে ফাঁসির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া তিনটি অভিযোগে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টায় সৈয়দ মো. হাসান আলী ওরফে হাছেন আলীর মামলার রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। আদালতে হাসান আলীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রীয় খরচে নিয়োগ দেয়া আইনজীবী অ্যাডভোকেট শুক্কুর আলী।
এর আগে সোমবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান মামলার রায়ের দিন ধার্য করেন মঙ্গলবার। গত ২০ এপ্রিল উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখে মামলাটি সিএভিতে রেখে দেন।
হাসান আলীর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতায়। একাত্তরে তাড়াইল থানার রাজাকার কমান্ডার এবং ‘রাজাকার দারোগা’ নামে পরিচিত ছিলেন তিনি।
বিএ/এসআরজে