বাড়তি ভাড়া আদায় গাবতলী বাস টার্মিনালে
বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ছুটছেন ঘরমুখো মানুষ। নিজেদের গন্তব্য স্থানে যেতে গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় এখন। যেকোনো মূল্যেই যেন নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন। এ অভিযোগে গাবতলীতে দুটি পরিবহনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার গাবতলী বাস টার্মিনালে সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে টানা বৃষ্টির মধ্যে ঘরে ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কেউ টিকিট পেয়েছেন, আবার কেউ কাউন্টার ঘুরে টিকিট খুঁজে বেড়াচ্ছেন। যেকোনো মূল্যেই যেন বাড়ি ফিরে পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ উৎযাপনের চেষ্টা।
বগুড়ার যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাবতলীতে এসেছেন শাহাবুদ্দিন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে আজ বাড়ি ফিরছেন।
তিনি বলেন, মাকে কথা দিয়েছি আজ যেভাবেই হোক বাড়ি ফিরবো। তাই বৃষ্টিতে ভিজেই গাবতলীতে এসেছি। বিভিন্ন কাউন্টার ঘুরেও একটি টিকিট ম্যানেজ করতে পারছি না। তাই টিকিট কাউন্টারের পাশে বসে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় আছি।
বেসরকারি চাকরিজীবী মজিদ। পরিবার নিয়ে যশোরে ঈদ করার উদ্দেশ্যে গ্রামের বাড়ি যাবেন। সৌখিন পরিবহনের সামনে অপেক্ষারত মজিদ বলেন, দুই ঘন্টা ধরে অপেক্ষা করছি। কোথাও টিকিট নেই। কাউন্টার থেকে অপেক্ষা করতে বলছে। তবে টিকিট পাওয়া যাবে কি না তা সে নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারছেন না।
সৌখিন কাউন্টারের ম্যানেজার সাইফ বলেন, আরিচা-মানিকগঞ্জে যানজটের কারণে গাবতলী টার্মিনালে গাড়ি আসতে পারছে না। কখন আসবে তাও কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। এ কারণে নতুন করে টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, টার্মিনালে পাঁচটি বাস দুপুর ১টায় ছেড়ে যাবে। সেসব বাসের টিকিট সকালে বিক্রি শেষ হয়ে গেছে।
সোহাগ কাউন্টার ম্যানেজার ইসরাফিল বলেন, দক্ষিণাঞ্চল রুটের যে কয়টি বাস যাবে তার সকল টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। টার্মিনালে বাস না পৌঁছানো পর্যন্ত নতুন করে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না।
এ দিকে, বাড়তি ভাড়া আদায় ও গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় গাবতলীর হানিফ এন্টারপ্রাইজ ও সুমন ডিলাক্স পরিবহনকে মোট ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট জাগো নিউজকে বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালে দুটি পরিবহন কাউন্টারে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গাড়ি রুট পারমিট ও অন্যান্য কাগজ না থাকায় হানিফ পরিবহনকে ১২ হাজার ও বাড়তি ভাড়া আদায় করায় সুমন ডিলাক্সকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় শেষ না হওয়া পর্যন্ত এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। টিকিট না থাকায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় সত্ত্বেও অনেক কাউন্টার খালি দেখা যায়।
এমএইচএম/এআরএস/আরআইপি