গাবতলী হাটে মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি
রাজধানীর গাবতলীর হাটে বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে। তবে এখনো অনেক গ্রাহক কেনার পরিবর্তে বাজার যাচাই করছেন। বৃহস্পতিবার গাবতলী হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে দাম এমন দামের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ক্রেতারা এমন মাঝারি মানের গরুর দিকেই বেশি ঝুঁকছেন।
চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা আলী আকবর এবার তার ফার্মের ৪২টি গরু এনেছেন গাবতলী হাটে। তার সবগুলো গরুই মাঝারি আকারের। এর মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে চারটি গরু বিক্রি করেছেন।
বিক্রেতা আলী আকবর বলেন, ৬০ হাজারের গরু সাড়ে ৩ মন এবং ৭০ হাজারের গরুর ৪ মন মাংস হবে।
তিনি বলেন, ক্রেতারা দরদাম বেশি করছে। তারা গতবারের সঙ্গে তুলনা করছেন। কিন্তু গতবার এক কেজি মাংসের দাম ছিল সাড়ে তিন’শ টাকা এবার তা হয়েছে ৫’শ টাকা। তা ছাড়া এবার গরুর প্রতিটি খাবারের দাম বেড়ে দিগুণ হয়েছে। ক্রেতারা এটা বুঝতেই চাচ্ছেন না।
মামুন রহমান নামে ধানমন্ডির একজন গ্রাহক ৭২ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনলেন। এই গরুটি কিনে উনি খুব খুশি। এক প্রশ্নের জবাবে মামুন জাগো নিউজকে বলেন, বিক্রেতারা গরুর দাম বেশি চাচ্ছে। আমার গরুটা প্রথমে এক লাখ টাকা দাম চেয়েছিল। কমতে কমতে শেষ পর্যন্ত ৭২ হাজার টাকায় ছেড়ে দিয়েছে।
কুষ্টিয়া থেকে ৫টি গরু নিয়ে এসেছেন আজরত আলী। তার সবগুলো গরুর ওজন ১২ থেকে ১৪ মন। তিনি বলেন, দুই লাখ থেকে সোয়া দুই লাখ পর্যন্ত দাম বলছে। এ দামে বিক্রি করলে আমার লস হবে। আমার কোনো গরুই আড়াই লাখের নিচে বিক্রি করা যাবে না। তাহলে আমার কোনো লাভ থাকবে না।
যেসব ক্রেতা হাটে এসেছেন তাদের অভিযোগ, বিগত বছরের তুলনায় এবার দাম অনেক বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা। মিরপুর সেনপাড়া পর্বতা থেকে আসা রহমান মোল্লাহ জানান, একটু পছন্দ হলেই সে গরুর দাম হাকা হচ্ছে লাখ টাকা। অবস্থা এমন যে লাখ টাকার কোনো দামই নেই।
অপরদিকে নড়াইল থেকে ৪টি গরু নিয়ে আসা আজম বলছেন, এবার গরুতে লস হলে জীবনে আর কোনোদিন গরু পালন করব না। ক্রেতারা অনেক হিসাব করছে। কিন্তু গতবারের ২২ টাকার ভূসি এবার ৩৫ টাকা, ২০ টাকার খুদ এবার ৩৫ টাকা ও ১৬ টাকার ক্যাটেল এবার ২৮ টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে। গতবার চাল কত দামে খেয়েছে আর এবার কত টাকায় কিনছে ক্রেতারা গরু কিনতে এসে সে হিসাব করছে না।
এফএইচএস/বিএ