বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর উচ্চ আদালত কোথায় ছিল : প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘উচ্চ আদালত এখন বিভিন্ন বিষয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে অনেক রায় দেয়। অনেকে অনেক বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এই উচ্চ আদালত কোথায় ছিল?
তিনি বলেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে অাসছে, বিএনপির অজুহাত ততই বাড়ছে। বিএনপি মানুষের কল্যাণ করতে পারে না। তারা শুধু জানে ধ্বংস করতে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা সবাই খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। জিয়া নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণার পর প্রথমেই খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। তাদের যোগ্যতা ছিল একটাই সেটা হলো তারা একজন রাষ্ট্রপতিকে খুন করেছে। তারা মুজিবকে হত্যা করতে পেরেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, যে জিয়াউর রহমান নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা খেতাব বীরধারী মনে করেন, সেই জিয়াই তো কত মুক্তিযোদ্ধা অার্মি অফিসারকে হত্যা করেছেন। অার যারা স্বাধীনতাবিরোধী ছিল তাদের নিজের চারপাশে রেখেছেন। তখন তো এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়াননি।
তিনি আরও বলেন, জিয়ার পর এরশাদ খালেদা জিয়া সবই তো খুনিদের পাশে নিয়ে রাজনীতি করেছেন। খুনিদের ক্ষমতায় অাসার সুযোগ দিয়েছেন। খুনি রশিদ ও কর্নেল হুদাকে বিরোধী দলের নেতা বানিয়েছেন।
মহানগর নেতা হাজি অাবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে অালোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অাওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অাবদুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
এফএইচএস/জেএইচ/এমএস