‘চল্লিশের অঙ্ক ছাড়া গরু মেলানো মুশকিল’
কোরবানির জন্য ছোট-খাটো গরুর দামও এবার অনেক বেশি বলে মনে হচ্ছে ক্রেতাদের কাছে। আর বিক্রেতারা মনে করছেন গতবারের তুলনায় কিছুটা দাম বাড়া এবার স্বাভাবিক।
গরু বিক্রেতাদের হিসাব মতে, ঢাকায় গরুর মাংস কেজি প্রতি প্রায় পাঁচশ টাকা। দুই মণ ওজনের কম কোনো গরু হয় না। সে হিসাবে দুই মণ ওজনের ছোট গরুর দাম আসে প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা।
বগুড়ার সাতগ্রাম থেকে আসা গরু বিক্রেতা চঞ্চল বলেন, ক্রেতারা মাংস হিসাবে করেও দাম বলে না। গতবার ১৩ হাজার টাকা মণ ছিল গরুর মাংস। এবার ২০ হাজার টাকা। সাত হাজার টাকা মণপ্রতি বৃদ্ধি পেলেও ক্রেতারা দাম আগের চেয়ে কম বলে।’
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গরুর খামারি মনির। ছয়টা গরু নিয়ে এসেছেন হাটে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, তিন মাস আগে ১৬ হাজার টাকা মণ হিসাব করে গরু কেনা হয়েছে। গ্রামের বাড়িতে গরুর ভালো দাম হয়েছে। ঢাকায় দাম কম।’
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, বিগত বছরের তুলনায় এবার দাম অনেক বেশি। তাদের ভাষ্যমতে, ছোট গরুর দামও প্রায় লাখের ঘরে চাইছেন বিক্রেতারা। অনেকটা আকাশচুম্বি বলা চলে।
রাজধানীর ইস্কাটন থেকে গরু কিনতে আসা সাদিকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বিক্রেতাদের বিক্রির আগ্রহ কম। দাম গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি চাইছেন। উপযুক্ত দাম বলার পরও তারা বিক্রি করতে চাইছেন না।’
রাজধানীর গুলশান থেকে রামপুরা আফতাব নগর হাটে গরু কিনতে এসেছিলেন শাহীন। দুই লাখ ৭০ হাজার টাকায় গরু কিনেছেন। তিনি বলেন, বিক্রেতারা চাওয়ার জন্য বেশি চাইছেন। তবে দাম মনে হয় ঠিকই আছে।
বাড্ডা থেকে গরু কিনতে আসা জাহাঙ্গীর জাগো নিউজকে বলেন, সাধ আর সাধ্য দুটো মাথায় রেখেই গরু কিনতে হবে। তবে বাজারের যে অবস্থা দেখছি, তাতে চল্লিশের ঘর ছাড়া গরু মেলানো মুশকিল।
এইউএ/এএইচ/এমএস