পাকিস্তানি উট সৌদির দুম্বা গাবতলীতে
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীর গাবতলীর পশুর হাটে এসেছে উট এবং দুম্বা। দেশে কোরবানির জন্য এসব পশুর চাহিদা কম থাকলেও উট ও দুম্বার দাম ইচ্ছামতো হাকাচ্ছেন খামারিরা।
মঙ্গলবার গাবতলীর হাটে চোখে পড়ে একমাত্র উটের। পাকিস্তানের এ উটটি ঢাকায় বিক্রির জন্য এনেছে মোহাম্মদপুরের ইমরান শাহ ফার্ম।
ফার্মের ব্যবস্থাপক আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, উটটি পাকিস্তান থেকে এনে কয়েক বছর পালনের পর হাটে তোলা হয়েছে। এর দাম সাড়ে ১৬ লাখ টাকা চেয়েছি, তবে ক্রেতা পেলে আরও কম দামে বিক্রি করা হবে। একই ফার্মের তিনটি দুম্বা বিক্রির জন্য আনা হয়েছে। এগুলোর দাম এক লাখ থেকে সর্বোচ্চ আড়াই লাখ পর্যন্ত হাকাচ্ছেন তারা। দুম্বাগুলো সৌদি আরব থেকে আমদানি করা হয়েছে বলে জানান আজাদ।
গাবতলীতে আরও চারটি দুম্বা এনেছে পর্বত পিকচার্স ফার্ম। এদের মধ্যে তিনটি সৌদি থেকে আমদানিকৃত এবং অপরটি ছাগলের ক্রস (সঙ্কর) দুম্বা।
এ ফার্মের ব্যবস্থাপক জুয়েল জাগো নিউজকে বলেন, সঙ্কর জাতের দুম্বার দাম চেয়েছি এক লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর বাকিগুলো দেড় লাখ করে। দুটি দুম্বা ৮০ হাজার করে সকালে বিক্রি হয়েছে বলে জানান তিনি।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মহিষ নিয়ে গাবতলীতে আসছেন খামারিরা। হাটের দক্ষিণ দিকে সারিবদ্ধভাবে চলছে মহিষের হাট। মহিষের দাম কমপক্ষে ৭০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ দুই লাখ ৮০ হাজার পর্যন্ত চাইছেন তারা। তবে বিক্রি নেই মহিষের।
কুষ্টিয়ার বিক্রেতা তৈয়ব আলী জাগো নিউজকে বলেন, গতকাল আটটা মহিষ নিয়ে ঢাকায় এসেছি। ১২ মণ ওজনের একটি মহিষের দাম তিন লাখ চেয়েছি। তবে কোনো ক্রেতা এখনো দাম বলেনি।
এদিকে বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পশুর হাট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সোমবারই হাট বসে রাজধানীতে। তবে দুদিন অতিবাহিত হলেও এখনো জমেনি গাবতলীর পশুর হাট। অল্পসংখ্যক ক্রেতা পশুর দরদাম করলেও বিক্রি নেই বললেই চলে।
এআর/এএইচ/আরআইপি