বাংলাদেশ-ভারত ২২ দফা চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ২২ দফা চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘শাপলা’ হলে এসব চুক্তি সই হয়। এসময় দুদেশের বাণিজ্য বৈষম্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য মংলা ও ভেড়ামাড়ায় বিশেষ অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়।
চুক্তির বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নবায়ন, উপকূলীয় জাহাজ চলাচল, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে বিএসটিআই ও বিআইএসের মধ্যে সহযোগিতা, ঢাকা-শিলং-গোহাটি বাস সার্ভিস, কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাস সার্ভিস।
সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে যেসব বিষয়ে- বাংলাদেশ ও ভারতের কোস্টগার্ডের মধ্যে সহযোগিতা, মানবপাচার রোধ, জালনোট বিষয়ক, ২০০ কোটি ডলারের ঋণ, বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে সামুদ্রিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা, চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার, আখাউড়ায় ইন্টারনেটের আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথ লিজ বিষয়ে বিএসএনএল ও বিএসসিসিএলের মধ্যে সমঝোতা।
অভ্যন্তরীণ নৌ ট্রানজিট ও বাণিজ্য প্রটোকল এবং বাংলাদেশে লাইফ ইন্স্যুুুরেন্স কর্পোরেশনের কার্যক্রম শুরু নিয়ে সম্মতিপত্রও সই হয়। এছাড়া ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি ব্যবস্থানায় একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। আসামের গৌহাটিতে বাংলাদেশ মিশন, খুলনা ও সিলেটে ভারতীয় মিশন খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সারদা পুলিশ একাডেমিতে ভারত ও বাংলাদেশ মৈত্রী ভবন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়।
এ সময় নরেন্দ্র মোদির হাতে স্যুভেনিউর ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন শেখ হাসিনা। এরপর সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে আয়োজিত যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে অংশ নেন তারা।
সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিজিটরস বুকে স্বাক্ষর করেন। এরপরই কার্যালয় থেকে মোদিকে বিদায় জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এর কিছুক্ষণ পর রাত ৮টায় দুই প্রধানমন্ত্রীর আবার দেখা হবে হোটেল সোনারগাঁওয়ে।
সেখানে গ্র্যান্ড বল রুমে অনুষ্ঠিত হবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ভোজসভা। রাত সাড়ে ৯টায় এই কর্মসূচি শেষ হবে।
বিএ/আরআই