প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা কেড়ে নিতে চাচ্ছেন
অাওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান বিচারপতির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি যাকে নিয়োগ দিলেন তিনিই অাবার রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা কেড়ে নিতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করা ও পক্ষ নেয়া প্রধান বিচারপতির কাজ নয়। প্রধান বিচারপতি তার পর্যবেক্ষণে সংসদ সদস্যদের নিয়ে যে বৈধতা ও অবৈধতার প্রশ্ন এনেছেন এ ধরনের প্রশ্ন অাসতে পারে না। কথাগুলো পর্যবেক্ষণে লেখার অাগে এ পদ থেকে ওনার সরে যাওয়া উচিত ছিল।’
সোমবার বিকেলে ২১ অাগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে অাওয়ামী লীগ অায়োজিত এক অালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে অায়োজিত এ অালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অাওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অাওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ৪টা ৫ মিনিটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এসেই ২১ অাগস্ট উপলক্ষে নির্মিত অস্থায়ী বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সভার শুরুতেই অাওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এরপর ২১ অাগস্টের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অামিনুল ইসলাম।
অালোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অাওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী অামির হোসেন অামু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল অাহমেদ, অাওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ অাশরাফুল ইসলাম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বালাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ নজিবুল বসার মাইজভান্ডারী, জাসদের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, জাসদের একাংশের কার্যকরী সভাপতি মঈন উদ্দিন খান বাদল ও অাওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অাফম বাহাউদ্দিন নাছিম।
অালোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, অার যাই হোক পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কোন তুলনা সহ্য করা হবে না। সুতরাং পাকিস্তানে কী হয়েছে না হয়েছে সে বিষয়ে কোন হুমকি দেবেন না। এটা সহ্য করা হবে না। তিনি বলেন, অবৈধভাবে অার কেউ ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। যদি কেউ সে চেষ্টা করে সংবিধান অনুযায়ী তার বিচার হবে।
এফএইচএস/ওআর/আরআইপি