ঢামেকে ‘জঙ্গি’ সাইফুলের মরদেহ
রাজধানীর পান্থপথে নিহত ‘জঙ্গি’ সাইফুল ইসলামের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে।
মঙ্গলবার তার সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর বিকেল ৪টায় ঢামেকে মরদেহ নেয়া হয়। এর আগে মঙ্গলবার সকালে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে পান্থপথের ওলিও ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে অভিযানে তিনি নিহত হন।
মঙ্গলবার রাত ৩টা থেকে ওই হোটেলটি ঘিরে রাখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সকাল পৌনে ১০টার দিকে চারতলা ওই ভবনের দিক থেকে বিকট বিস্ফোরণের পরপরই শুরু হয় গুলি। বিস্ফোরণে হোটেলের চতুর্থ তলার রাস্তার দিকের অংশের দেয়াল ও গ্রিল ধসে নিচে পড়ে। কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের এই অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে ‘অপারেশন আগস্ট বাইট’, যা শেষ হয় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে।
পলিশের ভাষ্য, অভিযানের সময় সাইফুলকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। পরে ওই ‘জঙ্গি’ একটি বোমা বিস্ফোরণের পর তাকে গুলি করে সোয়াটের সদস্যরা। এরপর মারা যান তিনি।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেছেন, নিহত সাইফুল জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আয়োজিত মিছিল-সমাবেশে আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সাইফুল ইসলামের বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়ায়।
মঙ্গলবার ঘটনার পর সাইফুল ইসলামের বাবা আবুল খায়ের মোল্লার বরাত দিয়ে খুলনার ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন জানান, নিহত ‘জঙ্গি’ সাইফুল ইসলাম চাকরি করতে এক সপ্তাহ আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে ঢাকায় আসেন।
এআর/জেডএ/এমএস
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ ১৮ বছর পর দেশে ফিরলেন রবিউল, বাবাকে ছুঁয়ে দেখলো তিন সন্তান
- ২ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও প্রতিষ্ঠায় তরুণদের এগিয়ে আসা জরুরি
- ৩ সাবেক মুখ্যসচিব তোফাজ্জলের দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে
- ৪ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে আন্তর্জাতিক ট্যুরিস্ট স্পটে রূপ দিতে চাই
- ৫ সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: জাতীয় নাগরিক কমিটি