শোক দিবসে নগরজুড়ে থাকবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, জাতীয় শোক দিবসে ধানমন্ডিসহ নগরজুড়ে নিশ্ছিদ্র ও কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, সাংসদসহ সামরিক ও বেসামরিক ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় নির্ধারিত পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ, র্যাবের সদস্যরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবেন।

নিরাপত্তার স্বার্থে ডগস্কোয়াড, বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট, সোয়াটও সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসা সর্বস্তরের মানুষকে শৃঙ্খলার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২-এ জাতীয় শোক দিবসেরর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, শোক দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২-এ সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। সকাল সাড়ে ৬টায় শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী। এরপর পর্যায়ক্রমে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, সাংসদসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও কূটনীতিকররা আসবেন। শৃঙ্খলার স্বার্থে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও যানচলাচলে নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

কমিশনার বলেন, পুরো ধানমন্ডি ৩২ এলাকা নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। চেকপোস্ট ও আর্চওয়ে পেরিয়ে সকলকে যেতে হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে।

নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রলি ব্যাগ, হাতব্যাগ, ভ্যানিটি ব্যাগ, দিয়াশলাই, আগ্নেয়াস্ত্র, চাকু, ছুরি নিষিদ্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি। আছাদুজ্জামান বলেন, কেউ এসব নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। বিষয়টি সম্পর্কে সর্বসাধারণকে সজাগ থাকার অনুরোধ জানান তিনি।

কমিশনার বলেন, শোক দিবসে নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করবো। সেজন্য আশপাশ এলাকার বাসাবাড়ি, মেস, ছাত্রাবাস, হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও দোকানে প্রয়োজনে তল্লাশি চালাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

শোক দিবসে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি রয়েছে কি না- জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো ঝুঁকি নেই। পরিস্থিতি বুঝে, প্রয়োজন ও বাস্তবতার নিরীখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে কমিশনার পুরো এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, যুগ্ম কমিশনার কৃঞ্চপদ রায়, মীর রেজাউল আলম।

জেইউ/আরএস/এনএফ/আইআই