ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

রানা প্লাজা ধস : ৪২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল

প্রকাশিত: ১০:২৯ এএম, ০১ জুন ২০১৫

আলোচিত রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় ভবন মালিক ও মামলার মূল আসামি সোহেল রানাসহ মোট ৪২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অভিযোগপত্রে অবহেলাজনিত মৃত্যু ও ইমারত আইন না মানার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে চার্জশিট দু’টি দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি’র সিনিয়র এএসপি বিজয় কৃষ্ণ কর।

দুই মামলায় রানা প্লাজা ভবনের মালিক সোহেল রানা, তার বাবা আব্দুল খালেক, সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, পৌরসভার সাবেক মেয়র রেফাত উল্লাহ, বর্তমান কমিশনার মোহাম্মদ আলী খানসহ ৫৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে একই আসামি দুই মামলায় থাকায় মোট ৪২ জন ধরা হয়েছে।

এদের মধ্যে হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে ৪১ জনকে। সাক্ষী রয়েছেন ৫৯৪ জন। ইমারত নির্মাণ আইনে করা মামলায় ১৮ জনকে আসামি রয়েছে এবং সাক্ষী রয়েছেন ১৩০ জন। হত্যা মামলায় ৪১ আসামির মধ্যে পলাতক আছেন ২৫ জন। ইমারত নির্মাণ আইনে করা মামলায় পলাতক আছেন ৭ জন।

দু’টি মামলার আসামিদের মধ্যে রানাসহ চারজন ছাড়া সব আসামি জামিন নিয়ে কারাগারের বাইরে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বুধবার সাভারে ৯ তলা ভবন রানা প্লাজা ধসে পড়লে হাজারের বেশি পোশাক শ্রমিক মারা যান। আহত হন আরো সহস্রাধিক। এ ঘটনা আন্তর্জাতিক সব গণমাধ্যমে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

ভবন ধসে প্রাণহানির ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন সাভার থানার এসআই ওয়ালী আশরাফ। সোহেল রানাসহ ২১ জনকে আসামি করা হয় ওই মামলায়। পরে মামলাটিতে অপরাধজনক প্রাণনাশেরও অভিযোগ আনা হয়।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে এ মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

ইমারত বিধি মেনে রানা প্লাজা নির্মাণ করা হয়নি এমন অভিযোগে সাভার মডেল থানায় আরেকটি মামলা করেন রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল আহমেদ।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, এ মামলায় আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ দুই বছর শাস্তি হতে পারে। মামলায় দুটির আসামিদের মধ্যে রানাসহ চারজন ছাড়া সব আসামি জামিন নিয়ে কারাগারের বহিরে আছেন।

দুই বছরেও বেশি সময় ধরে দায়ের করা আলোচিত মামলা দুটির তদন্ত শেষ করতে না পারায় সমালোচনা চলছিল সর্বমহলে।

আরএস/পিআর