এসডিজি অর্জনে টিআইবির ৭ সুপারিশ
সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ(টিআইবি)। এজন্য সাতটি সুপারিশ উপস্থাপন করেছে তারা। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে অনুষ্ঠিত মানবন্ধন থেকে এ সুপারিশ করা হয়।
এ সময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অন্তর্ভুক্ত একটি দেশ। এমডিজি (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য) ও এসডিজির মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য। এসডিজির ১৬নং লক্ষ্যমাত্রা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। সত্যিকার অর্থে এসডিজি অর্জন করতে চাইলে ১৬নং লক্ষ্যমাত্রা পর্যন্ত অর্থাৎ সুশাসন নিশ্চিত এবং দুর্নীতি দূর করতে হবে।
তিনি বলেন, আগে শুধু আমরাই বলতাম, আর এখন সরকারও দুর্নীতির কথা স্বীকার করে। ১৬নং লক্ষ্যমাত্রায় স্পষ্টভাবে বলা আছে, দুর্নীতি সমূলে উৎপাটন করতে হবে।টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে টিআইবি ও এর তরুণ অংশীজনদের সুপারিশসমূহের মধ্যে রয়েছে-
১. টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সরকারি ও বেসরকারিসহ সব ধরনের দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন ও সুশাসন কার্যক্রম পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
২. জাতীয় যুবনীতি-২০১৭ দ্রুত বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ ও সংশ্লিষ্ট তরুণ অংশীজনের অংশগ্রহণে তার পরিবীক্ষণ নিশ্চিত করা।
৩. যুবকদের মধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধের আগ্রহ সৃষ্টি এবং নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশে সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা।
৪. মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ বিকাশ ও চর্চা সম্প্রসারণ করে অশিক্ষা, কুসংস্কার ও ধর্মীয় ভ্রান্ত ধারণায় বিপথগামী হওয়া থেকে যুব সমাজকে রক্ষায় প্রচারণা কার্যক্রম গ্রহণ।
৫. জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, নৃতাত্ত্বিক পরিচয় ও আর্থ-সামাজিক বৈচিত্র নির্বিশেষে সকল নাগরিকদের সমান অধিকার নিশ্চিতে তরুণদের সম্পৃক্ত করা।
৬. তরুণদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও দক্ষতা উন্নয়নে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ নিশ্চিত করা।
৭. আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক পর্যায়ে কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করা।
এমএইচ/এমএমজেড/ওআর/পিআর