ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক

প্রকাশিত: ০২:২২ পিএম, ৩১ মে ২০১৫

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরবর্তী সভায় মানবপাচাকারীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্তের পর তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের মহাপরিচালক ড. শামসুল আরেফিন। রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে কমিশনের মাসিক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. শামসুল আরেফিন বলেন, মানবপাচারের লোমহর্ষক কাহিনী গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর কমিশনের নজরে এসেছে। এছাড়া মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করা হবে।

তিনি বলেন, মানবপাচার সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে দুদক আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

মুসা বিন শমসেরের সম্পদের অনুসন্ধানের বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক বলেন, তার সম্পদ বিবরণী কমিশনে দাখিলের জন্য ইতোমধ্যে নোটিশ জারি করা হয়েছে। তিনি দুদকের কাছে ৭ দিনের বর্ধিত সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। তাকে আগামী ৭ জুন পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে।

হলমার্ক ও ডেসটিনির দুর্নীতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে দুদকের মহাপরিচালক বলেন, মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি ডেসটিনির বিরুদ্ধে ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকার দুর্নীতির দু’টি মামলায় ইতোমধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীনসহ অনেকে কর্মকর্তা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

তিনি বলেন, হলমার্কের ১ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ৩৮টি মামলা হয়েছে। অন্যদিকে নন-ফান্ডেড ১ হাজার ৭১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অনুসন্ধান নথিভুক্তি হলেও এ সংক্রান্ত সোনালী ব্যাংকের ২৮ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রতিবেদেনের ভিত্তিতে পরবর্তীতে দুদক বিষয়টি তদন্ত করবে।

কমিশনের বিভিন্ন মামলার ও তদন্ত কার্যক্রমের পরিসংখ্যান সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়েছে। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দুদকে প্রাপ্ত অভিযোগের সংখ্যা ২ হাজার ৭৯৮টি। এর মধ্যে গৃহীত অভিযোগের সংখ্যা ২৩২টি।

এ ছাড়া ওই সময়ে মোট ১২৬টি মামলা দায়ের ও ২১৬টি মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হয়। এর মধ্যে এপ্রিল মাসে মোট ২৫টি মামলা ও ৪২টি মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়। এপ্রিল মাসে ১২টি মামলা নিষ্পত্তি হয় ।

এসকেডি/আরআইপি