এখনও অনিশ্চিত ৭ হাজারের বেশি হজযাত্রীর ভাগ্য
বাতিল হওয়া হজ ফ্লাইটগুলোর বিপরীতে জেদ্দা বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া স্লট পাওয়ার বিষয়ে এখনও কোনো সমাধান হয়নি।
ফলে ভিসা জটিলতার কারণে এ পর্যন্ত বাতিল ১৭টি ফ্লাইটের সাত হাজারের বেশি হজযাত্রীর ভাগ্য এখনও অনিশ্চিত।
সম্ভাবনা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতরের দিকে গেলেও ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীকে হজ করানোর বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী হজ মন্ত্রণালয় ও বিমান কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে হজ ক্যাম্পের পরিচালক সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ভিসা জটিলতা অনেকাংশে কেটে গেছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়ে গেছে। আমরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিমানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি প্রতিটি ফ্লাইটে ‘ফুল’ হজযাত্রী পরিবহন করবে। এ ক্ষেত্রে ‘ক্যাপাসিটি লস’ দিয়েই এ বছর হজ ফ্লাইট চালাবে তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি রিসিডিউলিং করা হয় বিজি-৩০৩৯ এবং বিজি-৩০৪১ ফ্লাইট দুটি। নিয়মানুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই দুটি ফ্লাইট জেদ্দার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বিজি-১০৫১ ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবারের বিজি-১০৫১ সহ বিমানের মোট ১৭টি হজ-ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আর সৌদি এয়ারলাইন্সের বাতিল হয়েছে চারটি ফ্লাইট। সবমিলে ২১টি বাতিল ফ্লাইটে সাড়ে ৮ হাজার হজযাত্রী যাওয়ার কথা ছিল।
শাকিল মেরাজ বলেন, আমরা এখনও স্লটের অনুমোদন পাইনি। আবেদন করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই একটা ভালো রেজাল্ট (ফল) পাবো আশা করছি।
উল্লেখ্য, এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট হজযাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট সেখানে পৌঁছেছে ২৪ জুলাই। শেষ ফ্লাইট যাবে ২৮ আগস্ট। ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ৬ সেপ্টেম্বর ও শেষ ফিরতি ফ্লাইট ৫ অক্টোবর।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১ সেপ্টেম্বর হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
আরএম/এনএফ/আরআইপি