পুলিশে আরও ৫০ হাজার লোক নেয়া হবে : স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনীতে আরও ৫০ হাজার জনবল বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। মঙ্গলবার সংসদে সরকারি দলের আনোয়ারুল আজিমের (আনার) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের জনসংখ্যা অনুপাতে পুলিশের জনবল যথেষ্ট নয়। জনবল নিয়োগের পরিকল্পনার আওতায় পুলিশ বিভাগের সকল ইউনিটসহ জেলা পুলিশের আওতাধীন ইউনিটসমূহের (থানা, ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্র) জনবল বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে বিশেষায়িত ইউনিট হিসেবে পুলিশ ব্যুরো অব কাউন্টার টেররিজম, রংপুর ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিট গঠন এবং এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের জনবল বৃদ্ধির প্রস্তাব সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ২০০৯ থেকে ২০১৩ মেয়াদকালে জনগণের সেবা বৃদ্ধিসহ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিক করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে পুলিশ বাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামোতে নতুন ইউনিট যেমন- ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, রংপুর রেঞ্জ, আরআরএফ, রংপুর, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ২টি সিকিউরিটি প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন, ৩০টি ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ ইউনিট গঠন, ৩০টি নতুন থানা ও ৬৪টি তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনসহ পুলিশ বাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামোতে বিদ্যমান বিভিন্ন ইউনিটের কাঠামো সংস্কারের অংশ হিসেবে ৩০ হাজার ৮৭৯ জন জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের পূর্ববর্তী ও বর্তমান মেয়াদে ৮৯২টি পিক-আপ, ৭৬টি জীপ, ২৫টি রেকার ও ৬৭টি জনযানসহ অন্যান্য আধুনিক ও যুগোপযোগী উন্নতমানের সর্বমোট ৪ হাজার ৫৯৪টি যানবাহন কিনে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জনগণের সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান মেয়াদেও আরও উন্নতমানের যানবাহন ক্রয়ের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণের সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পুলিশ বাহিনীকে আধুনিক ও গতিশীল করার জন্য এই বাহিনীর সদস্যদেরকে দেশে ও বিদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং তথ্য-প্রযুক্তিসহ অন্যান্য বিভিন্নমুখী প্রশিক্ষণে পাঠানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণের সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পুলিশকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সরবরাহের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।