ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মামলার পর তরুণীই ফেরারি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৩৩ এএম, ০১ আগস্ট ২০১৭

প্রেমের ফাঁদে পড়ে প্রথমে খুইয়েছেন সম্ভ্রম। পরে রোজগারের টাকাও। বিয়ের প্রলোভনে তরুণী সর্বস্ব হারানোর পর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। কিন্তু গত ১০ দিন ধরে পুলিশের চোখে আসামি পলাতক হলেও হুমকিতে রয়েছেন ওই তরুণী। আসামি এনায়েতের হুমকিতে বাদী তরুণী এখন ফেরারি।

ধানমন্ডি থানা সূত্রে জানা গেছে, ধানমন্ডির একটি বুটিক শপের সেলস গার্ল হিসেবে কাজ করতেন ওই তরুণী। গত ২০ জুলাই হাজারিবাগে বসবাসকারী এক তরুণী এনায়েতুল হাফিজকে (এনায়েত) আসামি করে নারী এবং শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে। মামলা নং-১২।

Anayet

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ধানমন্ডি প্লাজা এআর-এর একটি বুটিক শপের কর্মরত অবস্থায় কেনাকাটার সুবাদে এনায়েতের সঙ্গে পরিচয় এবং পরে প্রেমের সম্পর্ক হয় ওই তরুণীর। তিন বছরের প্রেমের পর ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর আসামি এনায়েত ধানমন্ডি ১৫ নম্বারের ২২ নম্বার বাসার ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায়ই ফ্ল্যাটে ডেকে নিত এনায়েত।

বছর খানেক আগে ব্যবসায় লোকসানের অজুহাতে ওই তরুণীর কাছে টাকা চায় এনায়েত। বিয়ের আশ্বাসে এনায়েতকে রোজগারের দুই লাখ টাকা দেন ওই তরুণী। এরপরই পরিবর্তন আসে এনায়েতের। এড়িয়ে চলা শুরু করে। ফ্লাটে গেলেও দেখা করে না। বিয়ে তো দূরের কথা, টাকাও পরিশোধ করেনি। গত ৩০ জুন এনায়েতের বাসায় গেলে শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হন ওই তরুণী। এরপরই মামলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

ওই তরুণী অভিযোগ করে বলেন, ‘ভাই চাকরি ছিল। তাতে পরিবারকে চালাতাম। এখন ইজ্জতও নাই, নগদ টাকাও নাই। উল্টো হুমকিতে আছি। আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে এনায়েত। যে কারণে চাকরিও করতে পারছি না। ফেরারি জীবনযাপন করছি।’

anayet

এ ব্যাপারে ধানমন্ডি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল লতিফ জাগো নিউজ বলেন, ওই তরুণীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। রিপোর্ট এখনো পাইনি। অন্যদিকে, আসামি পলাতক রয়েছে। তবে তাকে ধরতে জোর তৎপরতা চলছে।

মামলার বাদীর নিরাপত্তাহীনতায় বিষয়ে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, থানা পুলিশের সহযোগিতা চাইলে আমরা অবশ্যই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব।

উল্লেখ্য, আসামি এনায়েত বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৯নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে তিনি নির্বাচন করেছিলেন।

জেইউ/আরএস/পিআর

আরও পড়ুন