সুশাসনের জন্য শুদ্ধাচার উৎকৃষ্ট পথ : মন্ত্রিপরিষদ সচিব
সুশাসনের জন্য শুদ্ধাচার কৌশল একটি উৎকৃষ্ট পথ, গোটা জাতিকে এ জন্য প্রস্তুত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল গণসচেতনতা তৈরিতে গণমাধ্যমে ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে গণমাধ্যম সচেতনতা তৈরি ও জনমত গঠনে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। এ ক্ষেত্রে তিনি গণমাধ্যমকে পূর্ণ সমর্থন প্রদানের অনুরোধ জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রাতারাতি এটা বাস্তবায়ন করা যাবে না। শুদ্ধাচার কৌশলের এ প্রক্রিয়াটি ধীরে ধীরে সম্পন্ন করতে হবে।
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, রাষ্ট্র ও সমাজ জুড়ে আমাদের শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শুদ্ধাচার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে সমালোচকদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদেরকে নীতি কাঠামো, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি এ তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে সর্বক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এ জন্য মাঠ পর্যায়ে নানা কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শুদ্ধাচার নিশ্চিত করতে সামগ্রিক ক্ষেত্রে সংস্কার প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে আইসিটি প্রযুক্তি আমাদের সহায়তা করতে পারে। যেমন দুর্নীতি ও হয়রানী বন্ধে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে।
ভারতের একটি রাজনৈতিক দলের ন্যায়পাল রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের এখানেও প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ন্যায়পাল থাকলে এ কৌশল বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।
তিনি বলেন, দুর্নীতিকে কেবল আইনী ব্যবস্থার মাধ্যমে দমন করা সম্ভব নয়, তার জন্য প্রয়োজন সামগ্রিকভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যে সরকার জাতীয় শুদ্ধাচার কোশল প্রণয়ন করেছে। আর এ কৌশলকে একটি আন্দোলন হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
এসকেডি/আরআই