পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব কমেছে
সরকার সুপেয় পানি সরবরাহ ও সমন্বিত ব্যবস্থাপনায় শতভাগ সাফল্য অর্জনে বাস্তবমুখী বিভিন্ন কৌশলপত্র ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছে বলে জানিয়ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ধারাবাহিক সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অনিরাপদ পানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। শিশু মৃত্যুহারও হ্রাস পেয়েছে।’
শুক্রবার ‘ঢাকা পানি সম্মেলন ২০১৭’ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার আর্থ-সামাজিক সব ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সবার জন্য পানি সরবরাহ সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।’
তিনি বলেন, ‘এ সম্মেলন এসডিজি-৬ বাস্তবায়নে পানিবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্যানেল গৃহীত লক্ষ্যগুলো অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেবে। পাশাপাশি পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত করবে।’
জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অন্যতম একটি হলো ‘পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণকে সমর্থন ও সুদৃঢ়করণ’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা পানির সুষম ব্যবহার, বণ্টন ও অপচয়রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।’ বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, পানিসম্পদের সঠিক ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোচনা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে বিশ্বের ২৮টি দেশের অংশগ্রহণে শনিবার (২৯ জুলাই) থেকে ঢাকায় দুদিনব্যাপী ‘ঢাকা পানি সম্মেলন’ শুরু হচ্ছে।
এফএইচএস/জেএইচ/পিআর