শিল্পাচার্যের শিল্পকর্ম নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা যোগাবে
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের শিল্পকর্ম আগামী প্রজন্মকে সৃজনশীল কাজে নিরন্তর অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
বিশ্বখ্যাত বরেণ্য শিল্পী জয়নুল আবেদিন ১৯৭৬ সালের ২৮ মে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
জয়নুল আবেদিন বাঙালির গর্ব- উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, শিল্পাঙ্গনে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের অনবদ্য অবদান বাঙালি জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। কারণ তার কর্মে কেন্দ্রায়িত হয়েছে সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে নর-নারীর শ্রম ও সংগ্রাম এবং সেই সঙ্গে তাদের ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, অসাধারণ প্রতিভা নিয়ে এই ক্ষণজন্মা শিল্পী ১৯১৪ সালে ব্রহ্মপুত্র নদে লালিত সবুজ-শ্যামলিমা ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন।
গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের সহজ-সরল জীবনযাত্রা, মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও সংগ্রামই ছিল তার চিত্রকর্মের প্রধান উপজীব্য-এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদ ছিল তার আশৈশব প্রেরণার বিষয়। এ বরেণ্য শিল্পীর কল্পনার রেখা ও তুলিতে ভাস্বর হয়ে উঠেছে ১৯৪৩ সালের ‘দুর্ভিক্ষের রেখাচিত্র’, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে ‘নবান্ন’, ১৯৭০ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে লাখো উপকূলবাসীর মৃত্যুতে ‘মনপুরা’র মতো হৃদয়স্পর্শী চিত্র।
রাষ্ট্রপতি বলেন, শিল্পীর কালজয়ী শিল্পকর্ম দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও বিপুল প্রশংসা ও স্বীকৃতি লাভ করেছে। অসাধারণ শিল্প-মানসিকতা ও কল্পনাশক্তির জন্য তিনি শিল্পাচার্য উপাধিতে ভূষিত হন।
আবদুল হামিদ বলেন, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের উদ্যোগে ১৯৪৮ সালে ঢাকা আর্ট কলেজ (বর্তমানে চারুকলা ইনস্টিটিউট) প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং শিল্পাচার্য জয়নুলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৫ সালে সোনারগাঁয়ে লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ময়মনসিংহে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা গ্যালারি। রাষ্ট্রপতি এ বরেণ্য শিল্পীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
একে/আরআইপি