ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

এবার ‘স্মার্ট ঢাকা’ গড়ার লক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা | প্রকাশিত: ০৩:২৭ পিএম, ২৪ জুলাই ২০১৭

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, আমার দায়িত্বভার গ্রহণকালে কর্পোরেশনের সমুদয় রাস্তাঘাট ভেঙেচুরে একাকার হয়ে গিয়েছিল। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছিল, মশা মারার ওষুধ একটুও মজুদ ছিল না, সড়ক বাতি ১০ ভাগও জ্বলত না। তদুপরি বাজেটের অতিরিক্ত ব্যয় করার ফলে দেনার দায়ে জর্জরিত এ সংস্থার প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বিদ্যুৎ লাইন পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। এরকম একটি অবস্থা থেকে দায়িত্ব নিয়ে আমি নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এলাকাবাসীর নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত ও উত্তরোত্তর বৃদ্ধিকল্পে বিশদ কর্মপরিকল্পণা গ্রহণ করি।

নগরবাসীকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। প্রকল্পের সহায়তা পেয়ে আমি বিগত দুই বছরে যেসব উন্নয়ন কাজ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছি তা ১০ বছরেও করা সম্ভব হতো না। এটি আমি দাবি নিয়ে বলছি। এটি কর্পোরেশনের জন্য বিরাট অর্জন।

তিনি বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল গুলিস্তান-মতিঝিল এলাকার ফুটপাত দখলমুক্ত করা। আমরা যখন এ অভিযান শুরু করি তখন অনেকের মনেই এ অভিযানের সফলতা নিয়ে সংশয় ছিল। আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শতভাগ সফল হয়েছি। আজ এটি বাস্তব। আমরা গুলিস্তান-মতিঝিল-নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে পেরেছি। নগরবাসী আমাদের ওপর আস্থা রেখেছিল, আমরা তার প্রতিদান দিয়েছি।

‘আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা, আন্তরিকতা ও কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এগিয়ে যাচ্ছে। পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। নানা ধরনের পরিবর্তন দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। যতদিন যাবে এ পরিবর্তন তত দৃশ্যমান হবে। আপনাদের দোয়া, সহযোগিতা ও ভালোবাসা পেলে আমার নির্বাচিত মেয়াদের মধ্যেই ঢাকাকে একটি আধুনিক, পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’

মেয়র বলেন, এই দুই বছরে মৌলিক সমস্যাগুলোর ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ সমাধান করেছি। ২০১৮ সাল থেকে ‘স্মার্ট ঢাকা’ গড়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করব। একাজে আমরা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও তথ্যপ্রযুক্তির সমন্বয় করে নাগরিক সেবার মানোন্নয়নের পাশাপাশি আধুনিকতম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করব। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে।

এবার আমি আমাদের নিরলস ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় যেসব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হয়েছে ও চলমান রয়েছে তার কিছু উল্লেখযোগ্য চিত্র সংক্ষেপে উপস্থাপন করছি।

ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্তকরণ

পথচারীদের নিরাপদে ও সুষ্ঠুভাবে ফুটপাতে চলাফেরার স্বার্থে গুলিস্তান, মতিঝিল, নিউ মার্কেটের ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। নানা হুমকি-ধমকি, প্রতিরোধ এসেছে। কিন্তু কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করিনি। কর্মদিবসে অফিস আওয়ারের পরে হকারদের ফুটপাতে বসার অনুমতিদানসহ তাদের জন্য সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে দিলকুশা, নবাবপুর রোড, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল সংলগ্ন স্থান, সেগুনবাগিচা ও বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় পাঁচটি হলিডে মার্কেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা হকারদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছি।

এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলে থাকা সায়েদাবাদ ও ইংলিশ রোডে অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ড উদ্ধার করা হয়েছে। গোলাপবাগ মাঠ, শিশু পার্কের সামনের অবৈধ পার্কিং দখলমুক্ত করা হয়েছে। নারিন্দাতে প্রায় ০.৭৭০০ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

রাজস্ব আদায় কার্যক্রম

শুধুমাত্র ভৌগোলিক সীমারেখার ওপর ভিত্তি করে বিভাজনের ফলে অবিভক্ত সিটি কর্পোরেশনের আয়ের মাত্র ৩৫ ভাগ পায় ডিএসসিসি, ৬৫ ভাগ পায় ডিএনসিসি। বিপরীতে ডিএসসিসি’র ব্যয় ৬৫ ভাগ আর উত্তরের ব্যয় ৩৫ ভাগ। বেশির ভাগ স্কুল-কলেজ হাসপাতাল, মাতৃসদন, অবকাঠামো ও জনবল বেশি বলে ঢাকা দক্ষিণ অংশে ব্যয় বেশি। এ কারণে কর্পোরেশনের রাজস্ব আয় দিয়ে এর পরিচালনা ব্যয় মিটিয়ে উন্নয়নের জন্য সামান্য অর্থই উদ্বৃত্ত থাকে।

মেয়র বলেন, আমরা রাজস্ব আয় বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করি। এর অংশ হিসেবে আমরা অঞ্চল-১ ও ২ এ সাধারণ এ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রম শুরু করি। কিন্তু মহামান্য আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে এটি এখন স্থগিত রয়েছে। এ কারণে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট পূরণ করা সম্ভব হয়নি। তাই বাজেট বাস্তবায়নে এর প্রতিফলন ঘটেছে।

আমরা কর্পোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত ৩২টি পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট ভেঙে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত মার্কেট কাম কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পণা গ্রহণ করেছি। মেগা প্রকল্পের আওতায় এসব মার্কেট নির্মিত হলে এখাত থেকে বিপুল অংকের রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

অবৈধ বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ

অবৈধ ও দৃষ্টিকটু বিলবোর্ড/ব্যানার/ফেস্টুনে ঢাকা শহর ঢেকে ছিল। আকাশ, প্রকৃতি ও পার্ক কোনোটাই দেখা যেত না। আমি নিজে দায়িত্ব নিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার অবৈধ ব্যানার/ফেস্টুন ও সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ২২০০টি বিলবোর্ড অপসারণ করা হয়েছে।

ডিজিটালাইজড এলইডি বিলবোর্ড স্থাপন

নগরীর সৌন্দর্য বজায় রেখে ব্যবসায়ীদের পণ্যের প্রচারের সুবিধার্থে ডিজিটালাইজড এলইডি বিলবোর্ড বসানো শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে পান্থকুঞ্জ পার্ক, গাউছিয়া মোড়, রাসেল স্কয়ার, তাঁতিবাজার মোড়ে এসব বসানো হয়েছে। আরো ৪০টি এলইডি বিলবোর্ড নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ বছরই বসানো হবে।

শান্তিনগর এলাকার জলাবদ্ধতা

একসময় শান্তিনগর এলাকায় হাঁটু সমান জলাবদ্ধতা হতো। এলাকাবাসী অবর্ণনীয় কষ্ট ভোগ করতেন। এ অবস্থা নিরসনে আমরা শান্তিনগরে ড্রেনেজ নির্মাণে একটি বড় প্রকল্প গ্রহণ করি। প্রকল্পের কাজ ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে। আগস্ট মাস থেকে শান্তিনগর এলাকায় কোনো জলাবদ্ধতা হবে না।

শহরের অন্যান্য এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে ৩১০ কি.মি. নর্দমা পরিষ্কার এবং ২৩৯ কি.মি. নর্দমা নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৩৫ কি.মি. রাস্তা নির্মাণ, ২৭ কি.মি. ফুটপাত নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

নন্দীপাড়া খাল উদ্ধার

নন্দীপাড়া খালের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে খাল দখল করে নির্মিত ২২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ৫টি এসটিএস নির্মাণ করে উদ্বোধন করা হয়েছে। ১৯ টির নির্মাণ কাজ প্রায় সমাপ্ত। ২৩টির নির্মাণ কাজ চলছে। ডিএসসিসি ও প্রিজম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১০ টন ক্ষতিকর বর্জ্য সংগ্রহ করে পরিবেশ সম্মতভাবে পরিশোধন করা হচ্ছে।

ক্লিনারদের আবাসন ব্যবস্থাসহ সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাদের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণ

ল্যান্ডফিলে বর্জ্য অপসারণ নির্বিঘ্ন রাখতে এবং বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর তথা বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ৭২৫ কোটি টাকার “মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণসহ ভূমি উন্নয়ন” প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে- যা একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পের আওতায়  ৮১ একর ভূমি অধিগ্রহণ করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে বিগত দুই বছর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এক অভাবিত উন্নয়ন সাধন করেছে। আগামী কোরবানির ঈদগুলোতেও এভাবে স্বল্পতম সময়ে বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ও সংস্কার

নাগরিকদের জরুরি সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ১১টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করে উদ্বোধন করা হয়েছে। এগুলোর পরিবেশ বাসগৃহের চেয়েও সুন্দর। আরও ৪৭টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ এবং ১৭টির সংস্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ৩১টি খেলার মাঠ ও পার্কেও আধুনিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে।

ডিজিটালাইজড এলইডি বাতি স্থাপন

দায়িত্বভার গ্রহণের সময় নগরীতে ১০ ভাগ বিদ্যুৎ বাতিও জ্বলতো না। আমি দায়িত্ব নিয়ে অত্যাধুনিক এলইডি বাতি লাগানোর প্রকল্প গ্রহণ করি। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের প্রায় ৯০ ভাগ বাতি লাগানো সম্পন্ন করেছি। আগামী মাসের মধ্যেই পুরো নগরীতে এলইডি বাতি লাগানোর কাজ সমাপ্ত হবে।

এলইডি বাতি লাগানোর ফলে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ছিনতাই, রাহাজানি, সন্ত্রাসী ঘটনা ইত্যাদি অপরাধ কমে এসেছে। পথচারীরা যেমন নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারছেন তেমনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজেও সহায়ক হয়েছে।

এলইডি বাতি লাগানোর ফলে এখন দিনের থেকে রাতের ঢাকা অনেক সুন্দর, অনেক আকর্ষণীয়। আলোকোজ্জ্বল ঢাকার বিনোদন উপভোগ করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে নাগরিকগন পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসেন।

যানজট নিরসন

যানজট নগরীর একটি অন্যতম সমস্যা। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, বেদখল হয়ে থাকা রাস্তার ফুটপাত, ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল, লাইসেন্সবিহীন চালক, ট্রাফিক সিগন্যাল না মানা, যত্রতত্র যানবাহন থামিয়ে যাত্রী উঠানো এসব নানা কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িজনিত ভোগান্তি লাঘবে একটি সমন্বিত পরিকল্পণা গ্রহণের সুবিধার্থে বিভিন্ন সেবা সংস্থাকে তাদের বার্ষিক কর্মপরিকল্পণা আমাদের কাছে দেয়ার অনুরোধ জানাই। কিন্তু সংস্থাগুলোর নানা সীমাবদ্ধতার কারণে এটি সময়মতো পাওয়া যায় না। এটি আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

আমরা নগরীর ফুটপাত রাস্তা হকারদের অবৈধ দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়ে গুলিস্তান, মতিঝিল, নিউ মার্কেট এলাকার ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছে। ২০ বছরের বেশি পুরনো ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। মতিঝিলসহ নানা স্থানের সড়ক দখল করে পার্কিং করা যানবাহন সরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি পুলিশের সহায়তায় কয়েকটি সড়কে এক লাইন করে পার্কিং-এর ব্যবস্থা করায় ডিএসসিসি এলাকায় যানজট অনেক কমে সহনীয় মাত্রায় এসেছে।

মেগা প্রকল্প

মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ২৩টি বাস-বে নির্মাণ, গুলিস্তান এলিভেটেড ওয়ার্কওয়ে নির্মাণ, ফুটপাত উন্নয়ন, রাস্তা মেরামতের পরিকল্পণা গ্রহণ করেছি। রাস্তার মাঝে আইল্যান্ডে স্থাপিত পুলিশের বক্সগুলোকেও অপসারণ করে পরিকল্পিতভাবে উন্নতমানের স্বচ্ছ কাঁচ দিয়ে ঘেরা পুলিশবক্স নির্মাণের পরিকল্পণা গ্রহণ করেছি। এছাড়া ট্রাফিক সিগন্যালগুলোও ট্রাফিক পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী আধুনিকায়নের কার্যক্রম গ্রহণ করেছি।

জল সবুজে ঢাকা প্রকল্প

ঢাকাকে সবুজ বৃক্ষশোভিত তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা ১৩টি স্থাপত্য প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় প্রায় ১০০ জন স্থপতিবিদদের নিয়ে ৩১টি খেলার মাঠ ও পার্ক ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে “জলসবুজে ঢাকা” প্রকল্প গ্রহণ করেছি। এগুলোর টেন্ডার প্রক্রিয়া সমাপ্তির পথে। এর মধ্যে মাঝারি আকারের পার্কগুলোর আধুনিকায়নের কাজ ২০১৮ সালের জুন মাস নাগাদ সম্পন্ন করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি। এটি সম্পন্ন হলে ঢাকা এক অনন্য সাধারণ রূপ পাবে।

khokon

রোড মিডিয়ান সৌন্দর্যবর্ধন

নগরীর ৩০ কি.মি. প্রাইমারি সড়কের মিডিয়ানে সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বৃক্ষরোপনে নগরবাসীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে হোল্ডিং কর ১০ ভাগ মওকুফ করেছি। ফুটওভার ব্রিজগুলো বৃক্ষ শোভিত করা হয়েছে।

ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণ

নিরাপদ সড়ক পারাপারের লক্ষ্যে ৮টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে এবং ৯টির নির্মাণ ও ১৭টির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।

মশক নিধন কার্যক্রম

সম্প্রতি রাজধানীতে ভাইরাসজনিত চিকুনগুনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এটি প্রাণঘাতি না হলেও বেশ যন্ত্রনাদায়ক। তাই আমরা রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটার সাথে সাথে চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করি। জনপ্রতিনিধিদের একাজে সম্পৃক্তকরণসহ মশক নিধন কার্যক্রম জোরদারকরণ, পত্র-পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলসমূহে প্রচারণা চালানো, বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিতরণ, মাইকিং করা, ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ এনজিওকর্মী, কীটতত্ত্ববিদসহ বিশেষজ্ঞদের সাথে মতবিনিময় ছাড়াও মসজিদগুলোতে খতিব/ইমামদের মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া বিষয়ে বয়ানের ব্যবস্থা করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তুলতে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। নগরীর ৫টি অঞ্চলে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

জনসচেতনমূলক ও মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার এবং বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষকে একাজে সম্পৃক্ত করে পদক্ষেপ নেয়ার ফলে চিকুনগুনিয়ার উপদ্রুব কমে আসতে শুরু করেছে।

চিকুনগুনিয়া আক্রান্তদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ পাঠানোর লক্ষ্যে ২৪/৭ কল সেন্টার চালু করা হয়েছে। কর্পোরেশনের ২৮টি নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং তিনটি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান করা হচ্ছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে এটি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করছি।

স্বাস্থ্যসেবা ও মানবিক উন্নয়ন

আমার দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত  প্রায় পাঁচ লাখ রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে। আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে প্রায় ২১ লাখ লোককে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ১০ তলা বিশিষ্ট শহীদ নগর মাতৃসদন কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন প্রায়।

জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি অনুষ্ঠান

সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে এ পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ২০টি জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি শীর্ষক ব্যতিক্রমী জবাবদিহিমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ওয়াসা, ডেসা, রাজউক, ডিএমপিসহ ২৮টিসেবা সংস্থার প্রতিনিধিগণ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এলাকাবাসীর কাছে জবাবদিহি করে থাকেন।

এছাড়া এবিসি রেডিও এফএম ৮৯.২তে নিয়মিত “হ্যালো মিস্টার মেয়র” অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের সাথে বিভিন্ন নাগরিক সমস্যা নিয়ে জবাবদিহি করা হয়ে থাকে।

তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন

প্রধানমন্ত্রী কতৃক ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে ৫৭টি ওয়ার্ডে নগর ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ডিজিটাল হাজিরা চালু, পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কাজে উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য লোকেশন ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু।

ওয়াই-ফাই, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, শতভাগ ই-টেন্ডারিং চালু করা হয়েছে।

সামাজিক ও ধর্মীয় কার্যক্রম

এ পর্যন্ত ৩টি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। আজিমপুর কবরস্থানে মসজিদ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকেশ্বরী মন্দির নির্মাণ কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে। পোস্তগোলাতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য মহাশশ্মানঘাট নির্মাণ করে উদ্বোধন করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে পাইওনিয়র ফুটবল লীগ চালু করা হয়েছে। সারা দেশের ৭১টি দল এ প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করছে।  ২১টি ব্যায়ামাগারের মধ্যে ১৫টি চালু আছে এবং ৬টির সংস্কার কাজ চলছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য হোল্ডিং কর মওকুফ

দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মহান বিজয় দিবসে কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। তাদের জন্য ১৫০০ বর্গফুট পর্যন্ত আবাসন ট্যাক্স মওকুফ, আজিমপুর ও জুরাইন কবরস্থানে কবরের জন্য স্থান সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনীদের জন্য কর্পোরেশনের কমিউনিটি সেন্টার অর্ধেক ভাড়ায় ব্যবহারের সুবিধা অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি অনুমোদনের অপেক্ষাধীন রয়েছে।

ঢাকা উৎসবের আয়োজন ও মেধাবৃত্তি চালুকরণ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির আয়োজনে বিতর্ক, রচনা, উপস্থিত বক্তৃতা, সঙ্গীত, চিত্রাংকন, আবৃত্তি, ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় ঢাকা মহানগরীর ১২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। শিশুদের প্রতিভা বিকাশে মেধাবৃত্তি প্রদাণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া নগর ভবনে স্থাপিত নগর জাদুঘরটি সংস্কার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

পথশিশু/প্রতিবন্ধী/বস্তিবাসী শিশুদের উন্নয়ন

পথশিশু/প্রতিবন্ধী/বস্তিবাসী শিশুদের জীবনমান উন্নয়ন ও কল্যাণে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

সড়ক, ড্রেন ও ফুটপাত উন্নয়ন

নাগরিকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে একযোগে নগরীর ৩০০টি সড়ক নির্মাণ, উন্নয়ন ও সংস্কার করা হয়েছে।এ পর্যন্ত ২১৪.৭২ কি.মি. রাস্তা, ৪৭.৩৯ কি.মি. ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে ২৩৯.১৫ কি.মি. নর্দমা নির্মাণ, ১৩৫ কি.মি. সড়ক নির্মাণ এবং ১৪০ কি.মি. ড্রেন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ৩১০ কি.মি. নর্দমা পরিস্কার করা হয়েছে।

কোল্ড মিলিং মেশিন দিয়ে সড়ক নির্মাণ

মাত্র ৭ ঘণ্টায় ১ কি.মি. সড়ক নির্মাণে সক্ষম এমন অত্যাধুনিক কোল্ড মিলিং মেশিন সংগ্রহ করেছি। এর ফলে পুরনো সড়কের ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করেই নতুন সড়ক নির্মাণ সম্ভব। এতে ব্যয়ও ৪০% সাশ্রয়ী হয়।

রোড মার্কার, ব্যাটিং প্লান্ট, জেট এন্ড সাকার মেশিন ইত্যাদি অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজনের মাধ্যমে প্রকৌশল বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মডেল রোড

পথচারী ও যানবাহন চলাচলে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংযোজন করে ইতোমধ্যে ধানমন্ডি শেখ কামাল সরণি (২৭নং রোড) থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট এর ডিজাইনে একটি মডেল রোড নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

ই-টেন্ডার চালুকরণ

একসময় টেন্ডারবাজি নিয়ে নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটত। আমি দায়িত্বভার গ্রহণের পর অত্র কর্পোরেশনে শতকরা ১০০ ভাগ ই-টেন্ডার চালু করেছি। ফলে আগ্রহীরা অতিসহজেই যেকোনো স্থান থেকে এ টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন। ফলে শতকরা ১০০ ভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে।

নব-সংযুক্ত ৮ ইউনিয়নের উন্নয়ন কাজ শুরু

নব-সংযুক্ত ৮ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার রাস্তা, ফুটপাত, নর্দমা  সড়ক বাতি ইত্যাদি উন্নয়ন কাজ ইতোমধ্যে শুরু করা হয়েছে।

অবৈধ কেমিক্যাল কারখানা অপসারণ অভিযান

জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে পুরনো ঢাকায় বিদ্যমান কেমিক্যাল কারখানা অপসারণের লক্ষ্যে বিস্ফোরক অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ডিএমপিসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহকে সাথে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

অকট্রয় বরাদ্দ বৃদ্ধি

৮০’র দশকের শুরুতে মহানগরীতে যানবাহন প্রবেশের ক্ষেত্রে অকট্রয় (নগর শুল্ক) প্রথা চালু ছিল। পরবর্তীতে অকট্রয় প্রথা তুলে দিয়ে সরকার একটা থোক বরাদ্দ চালু করে। বর্তমানে ডিএসসিসিকে এ খাত থেকে ১ (এক) কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেয়া হয়।

কিন্তু আজকাল বাণিজ্যিকসহ নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কাজের স্বার্থে মহানগরীতে অত্যধিক ভারি ভারি যানবাহন চলাচল করে থাকে। অতিরিক্ত ওজনবাহী এসব যানবাহন চলাচল করায় দ্রুত রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে রাস্তা মেরামতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়।

যানবাহন খাত থেকে বিআরটিএ প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করে থাকে। তাই আমরা অকট্রয় খাতে সরকারের দেয়া থোক বরাদ্দের পরিমাণ এক কোটি টাকা হতে বাড়িয়ে ২৫ (পঁচিশ) কোটি টাকা করার আহ্বান জানাচ্ছি অথবা বিআরটিএ কর্তৃক এ খাত থেকে আহরিত আয়ের একটা অংশ ডিএসসিসি’র অনুকূলে বরাদ্দ দেয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য ১৭৮৮.৭৭ কোটি টাকার সংশোধিত বাজেটসহ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৩৩৩৭.৬৭ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন মেয়র। তিনি বলেন, এবার উন্নয়ন খাতে ব্যয় মোট বাজেটের শতকরা ৭৭ ভাগ।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে নিজস্ব উৎস থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৬৪.৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে রেটস অ্যান্ড ট্যাক্স বাবদ বকেয়াসহ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১৫.০০ কোটি, বাজার সালামি ৩১৩.০০ কোটি, বাজার ভাড়া বাবদ ৩০.০০ কোটি টাকা। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্স ফি বাবদ ৭০.০০ কোটি, রিকশার লাইসেন্স ফি বাবদ ৩.৬০ কোটি, বিজ্ঞাপন কর বাবদ ৩.০০ কোটি, বাস-ট্রাক টার্মিনাল থেকে ৪.০০ কোটি, অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা বাবদ ১০.০১ কোটি, রাস্তা খনন ফি বাবদ ২৫.০০ কোটি, যন্ত্রপাতি ভাড়া বাবদ ৫.০০ কোটি, শিশু পার্ক থেকে ৫.০০ কোটি,  কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া বাবদ ২.০০ কোটি, সম্পত্তি হস্তান্তর কর খাতে ৬৫.০০ কোটি, ক্ষতিপূরণ (অকট্রয়) বাবদ ১.০০ কোটি এবং পেট্রোল পাম্প বাবদ ২.০০ কোটি টাকা আয় হবে বলে মেয়র আশা করেন।

এছাড়া সরকারি মঞ্জুরী  (থোক) খাতে ৪০.০০ কোটি ও সরকারি বিশেষ মঞ্জুরী (থোক) বাবদ ১৫০.০০ কোটি, সরকারি ও বৈদেশিক সহায়তামূলক প্রকল্প খাতে ১৯৩৮.৫৯ কোটি  টাকা সাহায্য হিসেবে পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।

বাজেটের উল্লেখযোগ্য ব্যয়ের খাতগুলো তুলে ধরে মেয়র বলেন, বেতন ভাতা বাবদ ২৫০.০০ কোটি, সড়ক ও ট্রাফিক অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন খাতে ১১৩০.৫১ কোটি, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ/উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ৩৭৪.৮০ কোটি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানি ও গ্যাস বাবদ ১৪৩.৫০ কোটি, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ২৬.২৫ কোটি, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাবদ ২৫.৬০ কোটি, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সরবরাহ বাবদ ১০৪.১২ কোটি, বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ২৫.০০ কোটি, অপ্রত্যাশিত উন্নয়ন খাতে ব্যয়ের জন্য ২৫.০০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

কবরস্থান/শশ্মানঘাট সংস্কার ও উন্নয়ন খাতে ৯.০০ কোটি, বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক খাতে ১০.০০ কোটি, নাগরিক বিনোদনমূলক সুবিধাদি উন্নয়ন খাতে ১৭৫.৫০ কোটি, পরিবেশ উন্নয়ন খাতে ১৯২.৫০ কোটি, সংস্থার চাঁদা বাবদ ৩.৫০ কোটি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে ১০.০০ কোটি, ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন খাতে ৫১৮.৯২ কোটি, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ বাবদ ৯.০০ কোটি, ল্যান্ডফিল রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন বাবদ ১৫০.০০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

এএস/এমএআর/আরআইপি

আরও পড়ুন