ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

হজ ফ্লাইট পরিচালনার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:০৮ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৭

চলতি মৌসুমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম হজ ফ্লাইট বিজি-১০১১ আগামী ২৪ জুলাই (সোমবার ) সকাল ০৭ টা ৫৫ মিনিটে ৪১৯ জন হজযাত্রীকে নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে যাবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে উদ্বোধনী ফ্লাইটের হজ-যাত্রীদের বিদায় জানাবেন।

একই দিন হজ ফ্লাইট বিজি-৩০১১ দুপুর ১ টা ৫৫ মিনিটে ৪১৯ জন, বিজি-৭০১১ বিকাল ১৯ টা ৫৫ মিনিটে ৪১৯ জন এবং সিডিউল ফ্লাইট বিজি-০০৩৫ রাত ০৮ টা ৪০ মিনিটে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বে। নির্ধারিত সময়ে, নির্বিঘ্নে হজ ফ্লাইট পরিচালনার সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। চট্টগ্রাম এবং সিলেট থেকেও এ বছর যথারীতি প্রয়োজনীয় সংখ্যক হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। ২২ জুলাই, রবিবার সকাল ১০টায়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশকোনায় হজ ক্যাম্পে হজ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।

বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ জানান, এ বছর হজ ফ্লাইট ও সিডিউল ফ্লাইটে মোট ৬৩ হাজার ৫৯৯ জন (ব্যালটি ও নন-ব্যালটি) ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে জেদ্দা যাবেন। এসব হজযাত্রীদের ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে পারাপারের জন্য বিমান ইতোমধ্যেই নিজস্ব সুপরিসর বোয়িং ট্রিপল সেভেন উড়োজাহাজ প্রস্তুত রেখেছে। এছাড়া ৪০৬ আসনের লীজের বোয়িং ৭৭৭-২০০ উড়োজাহাজে হজযাত্রীদের পারাপার করা হবে।  ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বিমানের নিয়মিত সিডিউল ফ্লাইটেও কিছু হজযাত্রী পবিত্র ভূমিতে যাবেন। পবিত্র হজের গুরুত্ব ও ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স একটি নিরবচ্ছিন্ন হজ কার্যক্রম পরিচালনায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

বাংলাদেশ থেকে এ বছর প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী পবিত্র হজব্রত পালনে সৌদি আরব যাবেন। এ বছর বিমানে যাবেন মোট ৬৩ হাজার ৫৯৯ জন হজযাত্রী। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার ৯০ জন। অবশিষ্ট ৫৯ হাজার ৫শ’ ৯ জন যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। এ বছর ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে হজযাত্রীদের ইকোনমি ক্লাসে বিমান ভাড়া ১ হাজার ৪শ’ ৭৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হবে অন্যান্য কর। ঢাকা থেকে জেদ্দা প্রতি ফ্লাইটের উড্ডয়নকাল হবে আনুমানিক ৭ ঘন্টা।

দুই মাসব্যাপী হজ ফ্লাইট পরিচালনায় সিডিউল ফ্লাইটসহ মোট ৩৪৬ টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে, যার মধ্যে ২৮৩ ‘ডেডিকেটেড’ এবং ৬৩টি সিডিউল ফ্লাইট। ২৪ জুলাই থেকে ২৬ আগষ্ট পর্যন্ত ‘প্রি-হজ’এ মোট ১৭৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে  (ডেডিকেটেড-১৪৪ এবং সিডিউল-৩৩)। পোস্ট-হজে ১৬৯টি ফ্লাইট চলবে ০৬ সেপ্টেম্বর থেকে ০৫ অক্টোবর পর্যন্ত (ডেডিকেটেড-১৩৯ এবং সিডিউল-৩০)। হজ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা-জেদ্দা উভয় স্থানেই বিশেষ ব্যবস্থার আয়োজন করেছে।

প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য পাঁচ লিটার জমজমের পানি ঢাকায় আনা হবে এবং ঢাকায় ফেরার পর হাজীদের তা প্রদান করা হবে। হাজী সঙ্গে করে বিমানে পানি বহন করতে পারবেন না। যেকোনো ধারালো বস্তু যেমন ছুরি, কাঁচি, নেইল কাটার, ধাতব নির্মিত দাঁত খিলন, কান পরিষ্কারক, তাবিজ ও গ্যাস জাতীয় বস্তু যেমন এ্যারোসল এবং ১০০ এমএল এর বেশি তরল পদার্থ হাত ব্যাগেজে বহন করা যাবে না এবং কোন প্রকার খাদ্য সামগ্রী সঙ্গে নেয়া যাবে না।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী হাজীদের কষ্ট লাগব করার উদ্দেশ্যে ফিরতি ফ্লাইটের (জেদ্দা থেকে বাংলাদেশ) ব্যাগেজ জেদ্দা এয়ারপোর্ট এ চেক-ইন এর সময় বিমানে গ্রহণ করা হবে না। পরিবর্তে এই ব্যাগেজ পূর্বেই মক্কা ও মদিনায় বিমান নির্ধারিত স্থানে ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে যা বিমানের ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট হাজীদের বহনকারী ফ্লাইটেই পরিবহন করা হবে।

বিমান কর্তৃক পরিচালিত ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটসমূহের চেক-ইন, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা প্রতিবারের মতো এবারও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন হজ ক্যাম্পেই সম্পন্ন করা হবে। তবে সিডিউল ফ্লাইটের হজযাত্রীদের যাত্রাপূর্ব আনুষ্ঠানিকতা যথানিয়মে বিমানবন্দরে সম্পন্ন করা হবে। ঢাকা থেকে যাত্রার আগে হজযাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইটের বোর্ডিং কার্ড দিয়ে দেয়া হবে যা পাসপোর্টের সঙ্গে সযত্নে সংরক্ষণ করতে হবে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সাউদিয়া হজযাত্রীদের ঢাকা-জেদ্দা রুটে আনা-নেয়া করবে। ১৯৭৩ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ৯ লাখ ৩২ হাজার ৭৭৭ জন হাজী হজ-পালনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সেবা গ্রহণ করেছেন।

আরএম/ওআর/বিএ