আমদানি হচ্ছে আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল
খাদ্য ঘাটতি মেটাতে আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১৭৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এ চাল সরবরাহ করবে দুবাইয়ের প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফিনিক্স গ্লোবাল ডিএমসিসি।
বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এ চাল যেকোনো দেশ থেকে আমদানি করা হতে পারে।
সম্প্রতি মজুদ তলানিতে নেমে আসার পর চাল আমদানি করতে মরিয়া হয়ে উঠে সরকার। সরকারি পর্যায়ে আমদানির দরপত্র আহ্বানের পর বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি বাড়াতে শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে এক লাফে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়।
এরই অংশ হিসেবে সরকারি পর্যায়ে ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করছে। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি গত ১৪ জুন দরপত্র ছাড়াই সরকারি পর্যায়ে এই চাল আমদানির অনুমতি দেয়।
এর মধ্যে প্রতি মেট্রিক টন ৪৭০ মার্কিন ডলার দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল কিনতে খরচ পড়ছে ১৯৫ কোটি ৫ লাখ টাকা। আর ৪৩০ মার্কিন ডলার দরে দুই লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানিতে ৭১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে।
আড়াই লাখ মেট্রিক টন চালের মধ্যে দুই চালানে মোট ৪৭ হাজার মেট্রিক টন ইতোমধ্যে দেশে পৌঁছেছে। তৃতীয় চালানটি আগামী ২২ জুলাই দেশে পৌঁছাতে পারে বলে আশা করছেন খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
এমইউএইচ/এএইচ/জেআইএম