ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

প্রবাসীদের ৫২ শতাংশই হয়রানির শিকার

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:৫৬ এএম, ১৯ জুলাই ২০১৭

প্রবাসী বাঙালিদের ৫২ শতাংশই কোনো না কোনোভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘রিফউজি অ্যান্ড মাইগ্রেশন মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (রামরু)গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। 

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরি সিনেট ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। 

টাঙ্গাইলের পাইকুরা ইউনিয়নের ৯ ও এলেঙ্গার ১১টি ওয়ার্ডের ৫৪০৭ পরিবারের ওপর জরিপ করে গবেষাণাটি তৈরি করা হয়েছে।

রামরুর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তাসনিম সিদ্দিকী নিজেই প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। প্রকাশিত প্রতিবেদনের ওপর আলোচনায় অংশ নেন সাবেক বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা) সভাপতি বেনজির আহমেদ, মানবাধিকার কর্মী নূর হান প্রমুখ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যস্থতাকারীর (দালাল) মাধ্যমে অভিবাসনের হার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি এবং এ ক্ষেত্রে প্রতারণার হারও গ্রামেই বেশি।আর এ প্রতারণার কারণে বিদেশে যোগ্যতা ও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ না পাওয়ায় দেশে রেমিট্যান্সের হার কমে এসেছে। তাই অভিবাসনে দালালি ঠেকাতে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে।  

এছাড়াও অভিবাসনে ইচ্ছুক পরিবারের ৫১ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে  প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। এদের ১৯ শতাংশ বিদেশে যাওয়ার জন্য টাকা দিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। বাকি ৩২ শতাংশ বিদেশে থাকা অবস্থায় প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উঠে আসে।

অভিবাসীরা যে ধরনের নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন তার মধ্যে রয়েছে- ৭ শতাংশ ১ বছরের নিচে কারাগারে কাটিয়েছেন, ৬ শতাংশ চাঁদাবাজি ও ব্লাকমেইলের শিকার হয়েছেন, ১০ শতাংশ পুলিশি জটিলতায় ভুগেছেন, ১৪ শতাংশ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, ১২ শতাংশ মরুভূমি, জঙ্গল ও দুর্গম দ্বীপে অমানবিক জীবনযাপন করেছেন ও ১০ শতাংশ বেতন না পাওয়া বা অনিয়মিত বেতন প্রাপ্তির সমস্যায় পড়েছেন। তবে সার্বিকভাবে ৫২ শতাংশ প্রবাসী বিদেশে খাদ্য ও বাসস্থানের সমস্যায় পড়েছেন।

নিজামুল হক নাসিম বলেন, অভিবাসনের ক্ষেত্রে দালালের দৌরাত্মে অনেক নিরীহ মানুষ সমস্যায় পড়ে। তাই বিষয়টি সরকারকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে অভিবাসন প্রত্যাশীদেরকেও আরও সতর্ক হতে হবে।

এমএইচ/এএইচ/এমএস

আরও পড়ুন