আগামী বছর হজে যাবেন দেড় লাখ বাংলাদেশি
বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জন্য কোটা বৃদ্ধি করছে সৌদি আরব সরকার। ধর্ম মন্ত্রণালয় ও সৌদি সরকারের মধ্যকার হজ চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছর মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশি পবিত্র হজব্রত পালনের সুযোগ পাচ্ছেন।
তবে আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ৫০ হাজার মানুষ পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পাবেন। ইতোমধ্যেই সৌদি সরকারের কাছ থেকে এ ব্যাপারে সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিএমএইচ হারুন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে দেড় লাখ মানুষ হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এ ব্যাপারে সৌদি সরকারের সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে বলে তিনি দাবি করেন।
জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বিএমএইচ হারুন বলেন, বাংলাদেশ থেকে পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব যেতে ইচ্ছুক এমন মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। মক্কা ও মদীনাতে অবকাঠামো সংস্কার কার্যক্রমের কারণে গত কয়েক বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য সংরক্ষিত হজ কোটা কমিয়ে দিয়েছিল সৌদি সরকার। কিন্তু এ বছর থেকে আবার হজ যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে।
গত বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ থেকে লক্ষাধিক হাজি হজ করতে গেলেও এ বছর কোটা বৃদ্ধি পেয়ে তা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
সৌদি সরকারের নির্দেশনা অনুসারে গত বছর থেকে অনলাইনে প্রাক নিবন্ধনসহ সার্বিক হজ কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। আগামী বছর হজের জন্য ইতোমধ্যেই প্রায় লক্ষাধিক হজ গমনেচ্ছু প্রাক নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। বর্তমান সরকার সৌদি সরকারের কাছে বাংলাদেশি হজ গমনেচ্ছুদের ব্যাপক চাহিদার কথা তুলে ধরলে সৌদি কর্তৃপক্ষ হজ কোটা বৃদ্ধিতে সম্মত হয়।
এদিকে, এ বছর হজ ফ্লাইট আগামী ২৪ জুলাই শুরু হয়ে শেষ হবে ২৬ আগস্ট। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে হজযাত্রী নিয়ে শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে। সৌদি আরব সময় দুপুর ১২টা ৪০মিনিটে প্রথম ফ্লাইটটি জেদ্দায় পৌঁছবে।
অন্যদিকে, ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর শেষ হবে। বাংলাদেশ বিমান মোট ৩৪৬টি ফ্লাইটের মাধ্যমে ৬৩ হাজার ৫৯৯ জন যাত্রী পরিবহন করবে। মোট ফ্লাইটের মধ্যে ২৮৩টি ডেডিকেটেড ও ৬৩টি শিডিউল ফ্লাইট থাকবে।
তবে হজযাত্রীর সংখ্যা দেড় লাখ বৃদ্ধির বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের কাছে জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত না হলেও ইতিবাচক।
এমইউ/এসআর/পিআর