মুক্তার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই : ডা. সামন্ত লাল
বিরল চর্মরোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার মুক্তামণি মুক্তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ৩-৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির প্রধান সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, “ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আসার পর মুক্তার যে শারীরিক অবস্থা ছিল, তা এখন অনেকটাই ভালো। সে এখন খুব ভালো বোধ করছে। তবে তার চিকিৎসা নিয়ে একটি বাক্য বলতে চাই, ‘দীর্ঘ সময় লাগবে’। মুক্তার সুচিকিৎসার জন্য আমি নিজেও সবার কাছে দোয়া চাচ্ছি।”
সোমবার মুক্তাকে দেখার পর জাগো নিউজের এ প্রতিবেদককে একথা বলেন ডা. সামন্ত লাল সেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ জুলাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়।
সামন্ত লাল সেন বলেন, মুক্তার একাধিক অপারেশন করতে হবে। আমরা তার চিকিৎসার ব্যাপারে আশাবাদী। টেস্টের রিপোর্টগুলো আগের চেয়ে ভালো। সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ায় তার দেহে যে উপসর্গগুলো দেখা গেছে, সেগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলেই চলবে। এ সপ্তাহের শেষে কিংবা আগামী সপ্তাহের শুরুতে টেস্টের রিপোর্টগুলো নিয়ে আবারও বোর্ড বসে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা করবে।
এদিকে মুক্তার দেখভালের দায়িত্বে থাকা সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. মো. মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, মুক্তাকে অপারেশনের জন্য উপযুক্ত করতে দুই ব্যাগ রক্ত, এক ব্যাগ প্লাজমা দেয়া হয়েছে। একজন স্বাভাবিক মানুষের রক্তে ১ থেকে দেড় লাখ প্লেটলেট থাকা উচিত, তবে ২০ হাজারের কম থাকলে সেটা উদ্বেগজনক। মুক্তা যখন ঢামেকে আসে তার প্লেটলেট ছিল মাত্র ৯ হাজার। তাকে দুই ব্যাগ প্লেটলেট দেয়ার পর এই সংখ্যা ২০ হাজার হয়েছে। আগের চেয়ে তার দেহের হিমোগ্লোবিনও বেড়েছে। পুষ্টিহীনতার কারণে তার বয়সের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ খাবার (ডাবল ডায়েট) দেয়া হচ্ছে তাকে।
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তার সংবাদটি প্রকাশিত হয়। ৯ জুলাই জাগো নিউজে ‘লুকিয়ে রাখতে হয় মুক্তাকে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর মুক্তার চিকিৎসা দেয়ার দায়িত্ব নেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। পরে প্রধানমন্ত্রী মুক্তার যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নেন।
এআর/জেএইচ/পিআর