ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মুক্তার রোগ জন্মগত, ধাপে ধাপে চিকিৎসা করাতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:২৬ এএম, ১৬ জুলাই ২০১৭

বিরল চর্মরোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার মুক্তামণি লিমফেটিক ম্যালফরমেশন (লসিকানালী/রসবাহী নালীর বিকলাঙ্গতা) রোগে আক্রান্ত বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা। এই রোগ জন্মগত এবং এর চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি বলে জানিয়েছেন তারা।

এর আগে মুক্তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে আট সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের চিকিৎসকরা মুক্তাকে দেখে সম্ভাব্য চারটি রোগের একটি হয়েছে বলে ধারণা করেছিলেন। তবে তাদের ধারণা মুক্তার লিমফেটিক ম্যালফরমেশন হয়েছে। আগামীকাল সোমবার দুপুরে তার সবগুলো টেস্টের রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তখনই নিশ্চিতভাবে রোগের নাম বলবেন চিকিৎসকরা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, মুক্তার রক্ত নিয়ে কয়েকটি টেস্ট করা হয়েছে। ইউরিন টেস্ট করা হয়েছে, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, আলট্রাসনোগ্রাফিসহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মাংসের একটি পরীক্ষা করানো বাকি। এদের মধ্যে অধিকাংশ রিপোর্টই আমাদের হাতে চলে এসেছে। বাকিগুলো আগামীকাল পাব। ধারণা করা হচ্ছে তার লিমফেটিক ম্যালফরমেশন হয়েছে। আগামীকাল স্যাররা (মেডিকেল বোর্ড) রোগের নাম নিশ্চিত করে বলবেন।

ডা. মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, মুক্তার এই রোগ জন্মগত। তবে জন্মের পরপরই এ ধরনের রোগ প্রকাশ পায় না। দুই বছরের মধ্যে এগুলো দৃশ্যমান হয়। এই রোগের চিকিৎসা কয়েক ধাপে করাতে হবে।

এর আগে চিকিৎসকরা বলেছিলেন, মুক্তার চারটি সম্ভাব্য চর্মরোগের মধ্যে যেকোনো একটি হয়েছে। এগুলো হলো ডার্মাল ভাসকুলার মালফরমেশন (চর্ম সংবহনতান্ত্রিক বিকলাঙ্গতা), লিমফেটিক মালফরমেশন (লসিকানালি/রসবাহী নালির বিকলাঙ্গতা), নিউরোফিবরোম্যাটোসিস (একটি জিনগত ব্যাধি যা স্নায়ু টিস্যুতে টিউমার তৈরি করে) এবং কনজেনিটাল হাইপারকেরাটোসিস (বহির্বিভাগ অর্থাৎ বহিঃত্বক কোষ পুরু থেকে পুরুতর হওয়া)।

সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তার সংবাদটি প্রকাশিত হয়। গত রোববার (৯ জুলাই) জাগো নিউজে ‘লুকিয়ে রাখতে হয় মুক্তাকে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর মুক্তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। পরে প্রধানমন্ত্রী মুক্তার যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নেন।

এআর/বিএ/পিআর

আরও পড়ুন