তফসিলের আগে সরকারি কাজে হস্তক্ষেপের এখতিয়ার নেই : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সরকারি কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করার কোনো এখতিয়ার ইসির নেই। এটা আইনেই উল্লেখ আছে।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা প্রকাশকালে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম ও শাহাদত হোসেন চৌধুরী এবং অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে জেএসডি নেতা আ স ম রবের উত্তরার বাসায় এক ‘চা-চক্র’ অনুষ্ঠানে রাজনীতিক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, আবদুল কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ কয়েকজন একত্রিত হয়েছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে পুলিশি বাধার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সিইসির কাছে জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, এটা সরকারের বিষয়। আমরা তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী পরিবেশ বজায়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। এখন সরকারের কাছে কোনো অনুরোধ থাকবে না। তবে তফসিল ঘোষণার পর পরিস্থিতির প্রয়োজন হলে অনুরোধ করা হবে।
নির্বাচনকালীন সরকার কী ধরনের হবে এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৯০ দিন নির্বাচনী আইন-বিধি অনুযায়ী আমরা কাজ করব। এ মুহূর্তে সরকার কীভাবে পরিচালিত হবে ও রাজনৈতিক কর্মপরিবেশের বিষয়গুলো আমাদের এখতিয়ারে নয়। সরকারের কর্মকাণ্ডে এখনই কমিশন হস্তক্ষেপ করবে না।
রোডম্যাপ প্রকাশকালে সিইসি বলেন, এটি একটি সূচনা দলিল। নির্বাচনের পথে কাজের জন্য এ কর্মপরিকল্পনাই সব নয়। সংযোজন-পরিমার্জন করে সবার মতামত নিয়ে আমরা কাজ করে যাব।
কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হলেও তফসিল ঘোষণার পর থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসির অধীনে প্রশাসনিকসহ সব ধরনের কাজের তদারকি শুরু হবে বলে জানান কে এম নুরুল হুদা।
নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ইভিএম ব্যবহারের দরজা আমরা বন্ধ করে দিইনি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সরকার সহযোগিতা করলে এর ব্যবহার সম্ভব।’
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলসহ সব ধরনের অংশীজনের সুপারিশের পাশাপাশি সবার সহযোগিতাও চান সিইসি।
এইচএস/এনএফ/এমএস