আপনি উনাকে গিয়ে বলবেন, আমি ধন্যবাদ জানিয়েছি
বিরল রোগে আক্রান্ত ১২ বছর বয়সী কিশোরী মুক্তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক ডা. জুলফিকার আলী লেলিন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পরে দিকে ঢামেক হাসপাতালে যান লেনিন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুক্তার মাথায় হাত বুলিয়ে লেনিন তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তুমি প্রধানমন্ত্রীকে চেন? জবাবে মুক্তা বলে, চিনি।
এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করেন, তার নাম কী? মুক্তার জবাব, শেখ হাসিনা।
এরপর জুলফিকার আলী লেলিন মুক্তাকে বলেন, আমি শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করি। তিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তোমার চিকিৎসার জন্য। তোমার ভয় নেই। তুমি ভালো হয়ে যাবে।
এরপর মুক্তা বলে, আপনি উনাকে (প্রধানমন্ত্রী) গিয়ে বলবেন, আমি তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে আনা হয় মুক্তাকে। সেখানে দু’দিন ধরে তার বিভিন্ন টেস্ট করেন চিকিৎসকরা। টেস্টের ফলাফল দেখে মুক্তাকে ৩ দিনে ৩ ব্যাগ রক্ত দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
এর আগে মুক্তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বুধবার মুক্তাকে দেখে যান এবং বোর্ড সভায় নিজেদের পর্যবেক্ষণ জানান। মুক্তার চারটি সম্ভাব্য রোগের মধ্যে একটি হয়েছে বলে ধারণা তাদের। এগুলো হচ্ছে- Dermal vascular malformation (চর্ম সংবহনতান্ত্রিক বিকলাঙ্গতা), Lymphatic malformation (লসিকানালী/ রসবাহী নালীর বিকলাঙ্গতা), Neurofibromatosis (একটি জিনগত ব্যাধি যা স্নায়ু টিস্যুতে টিউমার তৈরি করে) এবং Congenital hyperkeratosis (বহির্বিভাগ অর্থাৎ বহিঃত্বক কোষ পুরু থেকে পুরুতর হওয়া)।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তার সংবাদটি প্রকাশিত হয়। ৯ জুলাই জাগো নিউজেও ‘লুকিয়ে রাখতে হয় মুক্তাকে’ শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর মুক্তার চিকিৎসা দেয়ার দায়িত্ব নেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। পরে প্রধানমন্ত্রী তার যাবতীয় চিকিৎসার দায়ভার বহনের দায়িত্ব নেন।
এআর/এনএফ/পিআর