সতর্কবাণী তামাকজাত প্যাকেটের উপরের অংশে ছাপানোর নির্দেশ
সব তামাকজাত পণ্যের প্যাকেট, কার্টন বা কৌটার উপরিভাগের অন্যূন ৫০ শতাংশ জায়গাজুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ ব্যতীত কোনো তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় ও বাজারজাত করা যাবে না। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত পূর্বের প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তিটিও বাতিল করা হয়েছে।
জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। সম্প্রতি এ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়।
জানা গেছে, ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫-এর ১০ ধারা অনুযায়ী সব তামাকজাত পণ্যের প্যাকেটের উপরের অংশে ৫০ শতাংশ জায়গাজুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণের বিধান রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) হস্তক্ষেপে আইন মন্ত্রণালয় তামাকজাত পণ্যের প্যাকেটের নিম্নভাগে ৫০ শতাংশ স্থানজুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণের সাময়িক অনুমতি প্রদান করলে এনটিসিসি ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল।
এতে করে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো আইন মন্ত্রণালয়ের এই মতামতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিল। বেসরকারি সংস্থা উবিনিগ (প্রা.) লিমিটেড, প্রজ্ঞা এবং ‘প্রত্যাশা’ এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদন করলে ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গ করে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ সংক্রান্ত ‘গণবিজ্ঞপ্তি’ প্রকাশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পরবর্তী আদেশ প্রদানের জন্য ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর কার্যতালিকায় মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
পরবর্তীতে এনটিসিসি এই গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু তামাকবিরোধী প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাশ বাংলাদেশ’ (অ্যাকশন অন স্মোকিং অ্যান্ড হেলথ বাংলাদেশ) চলতি বছরের জানুয়ারিতে আরও একটি রিট আবেদন করলে হাইকোর্ট পূর্বের সব কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত ‘গণবিজ্ঞপ্তি’ অনুযায়ী সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ বহাল রাখার আদেশ দেন। তবে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ও রিট আবেদনের দাবির স্বপক্ষে যথেষ্ট যুক্তি, তথ্য-প্রমাণ উপস্থিত করতে না পারায় এ বছরের ১৯ মার্চ ‘অ্যাশ বাংলাদেশ’-এর রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
ফলে তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটের উপরিভাগে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়নে সব বাধা অপসারিত হয়।
এমএ/জেডএ/জেআইএম