ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিতে সেনাবাহিনী চান রওশন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৫৮ পিএম, ২৮ জুন ২০১৭

ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী কিংবা র‌্যাবকে ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় সেখানে সেনাবাহিনী যায়। জনগণকে উদ্ধার ও পুনর্বাসন করে। খাদ্যে ভেজাল এখন আমাদের জাতীয় সমস্যা। সেখানে সেনাবাহিনী বা র‌্যাবকে আপনি ব্যবহার করছেন না কেন? ভেজালমুক্ত খাবারের ব্যবস্থা করলে আপনি জাতির কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে কোনো টাকা বরাদ্দের প্রয়োজন নেই। কোনো ডাক্তার দরকার নেই। কোনো হাসপাতাল দরকার বা ওষুধের দরকার নেই। কারণ ভেজাল খেয়ে খেয়ে আমরা তো মরেই যাচ্ছি। হাসপাতাল আর ডাক্তার তাহলে কি দরকার। ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে ধরে ১০, ১২, ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। এটা তো যথেষ্ট নয়। একজনকে ছুরি দিয়ে মারা আর গুলি করে মারা তো একই কথা। এরা তো পুরো জাতিকে মেরে ফেলছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। তা না হলে তো স্বাস্থ্যখাতে কোনো বরাদ্দ লাগবে না।

মেডিটেশনে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে রওশন বলেন, এটি করলে মানুষ শারীরিক ও মানসিকভাবে উপকৃত হয়। ভারতেও এটির উপরে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাংলাদেশেও গত বছর এটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আবার কেন এটি আনা হলো। মেডিটেশন সেবাকে স্থায়ীভাবে সেবাখাতে অন্তর্ভুক্তের জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানান তিনি।

কর্মসংস্থানের জন্য বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করে রওশন বলেন, বিনিয়োগের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন, যা এখনো দেশে গড়ে ওঠেনি। বেসরকারি বিনিয়োগ আনতে সে পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ না হলে কর্মসংস্থান হবে না। সেজন্য ইনফ্রাস্টাকচার গড়ে তুলতে হবে। নইলে বিনিয়োগ দ্বিধাগ্রস্ত হবে। প্রতি বছর ২৪-২৫ লাখ ছেলে মেয়ে লেখাপড়া শেষ করে বের হয়। কর্মক্ষম ১০ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র ৫ কোটির কাজ আছে। বাকি লোকের কর্মসংস্থান নেই। সবার তো চাকরি হবে না। এলাকাভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুললে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। কর্মসংস্থান না হলে ছেলে-মেয়েরা নেশাগ্রস্ত হবে, না হয় জঙ্গি হবে।

এইচএস/এএইচ/পিআর

আরও পড়ুন