দুই দিনে মিরপুর চিড়িয়াখানায় দুই লাখ দর্শনার্থী
ঈদ বিনোদনে সোম ও মঙ্গলবার দুই দিনে মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় প্রায় দুই লাখ দর্শনার্থীর আগমন ঘটেছে। ঈদের দিন ভিড় কিছুটা কম হলেও মঙ্গলবার ছিল রাজধানীবাসীর উপচেপড়া ভিড়। আজ চিড়িয়াখানায় সরেজমিনে গিয়ে এমনটাই দেখা যায়।
সোমবার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ আনন্দ উদযাপনে পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে রাজধানীবাসী গতকাল ও আজ জাতীয় চিড়িয়াখানায় ছুটে আসেন। বাড়তি ভিড় সামলাতে নেয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা।
চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ঈদের দিন মানুষের নানা কাজ থাকায় দর্শনার্থীদের ভিড় কিছুটা কম হয়। তবে ঈদের পর দিন থেকে দর্শনার্থীর ভিড় সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, সোমবার ঈদের দিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার দর্শনার্থী হয়। তবে আজ সেই সংখ্যা তিনগুন বেড়েছে। আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ দর্শনার্থীর আগমন হয়েছে বলে জানান তিনি।
চিড়িয়াখানার ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, জিরাফ, চিত্রা হরিণ, জলহস্তি, বানরসহ অনেক প্রাণীর প্রজনন (বাচ্চা) হয়েছে। এসব খাচার সামনে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে।
এ ছাড়াও বাঘ, সিংহ, বানর, সাপ, হনুমানের খাঁচার সামনে নানা বয়সীরা ভিড় করেন। সকলে উৎসুক হয়ে এসব প্রাণী দেখে দেখে আনন্দ উপভোগ করেন।
এদিকে, জনমানুষের ঢল নামায় চিড়িয়াখানার সম্মুখে থেকে শুরু করে সনি সিনেমা হল পর্যন্ত পুরো রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। মিরপুর রাইনখোলা, সনি হলের সামনে, ১ নাম্বার বাসস্ট্যান্ডসহ পুরো এলাকা জুড়ে প্রচুর যানজটের কবলে পড়েন এলাকাবাসী।
জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানান, চিড়িয়াখানার সামনে যানজট নিরসনে বাড়তি পুলিশ ও ট্রাফিক নিয়োজিত রয়েছে। গাড়ি চালকদের অসচেনতার ফলে এমন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
চিড়িয়াখানার এস্টেট ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা অসীম কুমার দাস বলেন, যানজট এড়াতে এ বছর প্রথম চিড়িয়াখানায় সামনে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ও হাকার উচ্ছেদ করা হয়েছে। দর্শনার্থীরা যাতে সুন্দর-মনোরমভাবে চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করতে পারেন সেজন্য তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আগামীকাল (বুধবার) জাতীয় চিড়িয়াখানায় লক্ষাধিক দর্শনার্থীর আগমন হতে পারে বলেও জানান তিনি।
এমএইচএম/এমএমজেড/এমএস