জুমাতুল বিদায় মসজিদে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়
পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার অর্থাৎ জুমাতুল বিদা`র দিন রাজধানীসহ দেশের মসজিদগুলোতে ছিল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়। বৃহস্পতিবার পবিত্র শবে কদরের রাতে রাতভর ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থেকে নির্ঘুম রাত কাটালেও সকাল থেকেই জুমাতুল বিদার নামাজে অংশ নিতে প্রস্তুুতি নিতে থাকেন সবাই।
দুপুরে জুমা`র আজান হওয়ার পরপরই মসজিদে মসজিদে ছুটতে থাকেন তারা। সরেজমিনে রাজধানীর একাধিক মসজিদ ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি মসজিদে বয়োবৃদ্ধ থেকে শুরু করে খুদে শিশুসহ নানা বয়সী মুসল্লিদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। যারা বিলম্বে গেছেন তাদের অনেকেই নামাজ শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত বসতেও পারেননি। নামাজ শুরুর আগে দাঁড়িয়ে থাকা মুসল্লিলীদের জায়গা করে দিতে ইমাম সাহেবরা সামনে এগিয়ে থাকার জন্য অনেককে অনুরোধ করেন।
আজ বিভিন্ন মসজিদের ইমামরা খুৎবায় এ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরার পাশাপাশি ফিতরা দেয়ার বিষয়ে সঠিক নির্দেশনা তুলে ধরেন। নামাজ শেষে ব্যক্তি, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি তুলে ধরে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিশেষ মোনাজাত করা হয় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমেও।
উল্লেখ্য, জুমার দিনটিকে সাপ্তাহিক ঈদ হিসেবে গণ্য করা হয়। এদিনের ফজিলতও অনেক বেশি। মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) বলেন, সূর্যোদয় হওয়ার সবগুলো দিনের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম ও শ্রেষ্ঠ হলো জুমার দিন। এই জুমার দিনেই হজরত আদম (আ.) কে আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন এবং জুমার দিনেই তাকে জান্নাত দান করেন। একই সঙ্গে জুমার দিনই তাকে জান্নাত থেকে এই দুনিয়ায় প্রেরণ করেন এবং কিয়ামতও এই জুমার দিনেই অনুষ্ঠিত হবে।
এমইউ/এমএমএ/এমএস