ভারতে বাংলাদেশি চ্যানেল প্রচারে বাধা উচ্চ ডাউনলিংক ফি
উচ্চহারের ডাউনলিংক ফি ছাড়া ভারতীয় আইনে বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল প্রচারে কোনো বাধা নেই বলে সংসদকে জানিয়েছেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এক মাত্র উচ্চহারের ডাউনলিংক ফি দেশটিতে বাংলাদেশি চ্যানেলগুলো প্রচার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে মোহাম্মদ ইলিয়াছের এক প্রশ্নের উত্তরে তথ্য মন্ত্রীর পক্ষে তিনি এ তথ্য জানান।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সার্ক ফোরামে বিষয়টি উত্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ভারতে বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ডাউনলিংকের ফি কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা বলছে।
সেলিনা জাহান লিটার এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বিদেশি টিভি চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংকপূর্বক সম্প্রচার করা যেতে পারে। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন-২০০৬ এর ১৯ ধারায় বর্ণিত বিধি-নিষেধ সাপেক্ষে এই আইনের আওতায় বর্ণিত ‘কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা ও লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০১০’ এর বিধান অনুযায়ী চ্যানেলগুলো পরিবীক্ষণ ও সরকারকে সহায়তা দেওয়ার জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পরামর্শক কমিটি রয়েছে। কমিটি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি সুরক্ষায় বিদেশি অপসংস্কৃতির আগ্রাসন রোধে আমাদের মূল্যবোধ ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনা করে বিদেশি চ্যানেল ডাউনলিংকের সুপারিশ প্রদান করে থাকে।
নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ১৪টি টেলিভিশন সম্প্রচার উপ-কেন্দ্র আছে। এগুলো হলো সিলেট, খুলনা, রংপুর, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী, নাটোর, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও, ঝিনাইদহ, পটুয়াখালী, রাঙ্গামাটি ও উখিয়া। তাছাড়া দেশে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র রয়েছে। বিভাগীয় শহরগুলোতে অবস্থিত উপকেন্দ্রের মধ্যে খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট ও বরিশাল উপকেন্দ্রকে পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রে রূপান্তরের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
এই লক্ষ্যে বিটিভি ও তথ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।