সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ ১৭টি দফতর/সংস্থার মধ্যে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ স্বাক্ষর আজ (বৃহস্পতিবার) হয়েছে।
আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ চুক্তিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. ইব্রাহীম হোসেন খান ও দফতর/সংস্থার পক্ষে এর প্রধানরা স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মসিউর রহমান, অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব সামছুন্নাহার বেগম, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচাল লিয়াকত আলী লাকী, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, প্রত্নতত্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আলতাফ হোসেন, গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকার, নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক ভূইঞা , গ্রন্থাগার ও আর্কাইভস অধিদফতরের পরিচালক মো. মজিবুর রহমান আল-মামুন, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক রবীন্দ্র গোপ, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য দফতর/সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
এ মন্ত্রণালয়ের দফতর/সংস্থাগুলো হলো- বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, প্রত্সতত্ত¡ অধিদপ্তর, আর্কাইভস্ ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউÐেশন, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, কপিরাইট অফিস, নজরুল ইনস্টিটিউট, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট (রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি), ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমী, বিরিশিরি, নেত্রকোণা, রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমী, রাজশাহী ও মণিপুরী ললিতকলা একাডেমী, মৌলভীবাজার।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত সংস্কৃতিসচিব মো. ইব্রাহীম হোসেন খান বলেন, আজ এ মন্ত্রণালয়ের সাথে এর দফতর/সংস্থাসমূহের যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো তা একটি তাৎপর্যময় ঘটনা। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখছি, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি আধুনিক ও উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছি, সে স্বপ্ন পূরণের পথে এ চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতিগত কৌশল।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা আনয়নে এ চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতা ও দক্ষতা বাড়াতেও এ চুক্তি সাহায্য করবে। ফলে মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিপূর্ণভাবে অর্জিত হবে এবং প্রদেয় সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। শুধু কাগজে-কলমে চুক্তি করলেই হবে না, এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে আমাদেরকে সচেষ্ট থাকতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় ও দফতর/সংস্থার মধ্যে সুসমন্বয় অত্যন্ত জরুরি।
উল্লেখ্য, সরকারি কাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দায়িত্বশীলতা ও গতিশীলতা আনয়নের জন্য সরকার বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির প্রবর্তন করেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪৮টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু হয়। মন্ত্রণালয়/বিভাগের কার্যক্রম পদ্ধতি নির্ভর থেকে ফলাফল নির্ভর করা এ চুক্তির উদ্দেশ্য। প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও একই সঙ্গে সম্পদের উত্তম/যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করাও এ চুক্তির অন্যতম লক্ষ্য। এ চুক্তির আওতায় একটি অর্থবছরে মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে কি কি কার্য সম্পাদন করা হবে, কিভাবে করা হবে সূচকের ভিত্তিতে তার রূপরেখা নির্ধারণ করা হয়। এর মাধ্যমে সরকারি দপ্তরের কার্যক্রম বস্তুনিষ্ঠ পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে, যা সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
এমইউ/এআরএস/পিআর