রাজধানীর সঙ্গে রেলপথে যুক্ত হচ্ছে পায়রা বন্দর
রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক জানিয়েছন, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে পায়রা বন্দরকে রেলসংযোগ দিতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙা-বরিশাল-পায়রা বন্দরে রেললাইন স্থাপনের অংশ হিসেবে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-ভাঙ্গা পর্যন্ত লাইনের কাজ শুরু হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে পটুয়াখালী-৩ আসনের আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। রেলমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিশদ ডিজাইনের জন্য একটি প্রস্তাব গত ৯ অক্টোবর অনুমোদিত হয়েছে। এরপর গত বছরের ২০ ডিসেম্বর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডিপি রেল লিমিটেড নামক একটি কোম্পানির সঙ্গে রেলওয়ের সমঝোতা সই হয়েছে।
তিনি বলেন, রেলওয়ে একটি সেবামূলক সংস্থা। দেশের আপামোর জনগণের স্বল্প খরচে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ সেবা প্রদানের জন্য নানাবিধ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হাতে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে ৯৭ হাজার ৬২৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫৩টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ ছাড়া রেলওয়ের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে করিডোর ডাবল লাইনে উন্নীত করা, বিদ্যমান রেলপথের উন্নয়নের জন্য গত ২০১৩ সালের ৩০ জুন একটি মাস্টার প্লান অনুমোদিত হয়েছে। মহাপরিকল্পনাটি ৪টি পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৪ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৩৫টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত আছে।
পঞ্চগড়-২ আসনের এমপি নুরুল ইসলাম সুজনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রেলওয়ের অব্যহৃত ভূমির পরিমাণ ১০ হাজার ৮৪৩ দশমিক ১৫ একর। এ জমিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পিপিপির আওতায় আধুনিক হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ, আন্তর্জাতিক মানের ৫ তারকা হোটেল কাম বাণিজ্যিক ভবন, বহুতল বিশিষ্ট শপিংমল, গেস্ট হাউস ইত্যাদি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
রেলমন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার সংসদে রেলের চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, লাইন ক্যাপাসিটি বৃদ্ধিকরণ, নতুন রেলপথ নির্মাণ ও রেলপথ পুনর্বাসন, সিগনালিং ব্যবস্থার উন্নয়ন, রোলিং স্টক সঙ্কট নিরসনে গৃহিত পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
এইচএস/আরএস/জেআইএম