ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

১ লাখ টাকা পর্যন্ত আবগারি শুল্ক দিতে হবে না : অর্থ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৯:০১ এএম, ১৩ জুন ২০১৭

অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক হিসাবে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আবগারি শুল্ক ধার্য করা হলেও তা দিতে হবে না। আমরা এক লাখ টাকা পর্যন্ত আবগারি শুল্ক চিরদিনের জন্য মুক্ত করেছি।

মঙ্গলবার সংসদে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকের হিসাবে আবগারি শুল্ক আদায় নতুন কিছু নয়। এই শুল্ক ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু হয়েছে, যা ২০০৯ সাল থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ৫০০ টাকা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেট এক লাখ টাকা পর্যন্ত কোনো ধরনের আবগারি শুল্ক দিতে হবে না। আমরা এক লাখ টাকা পর্যন্ত চিরদিনের জন্য আবগারি শুল্ক মুক্ত করেছি। এরপর আমানতের ওপর ৮০০ টাকা থেকে আবগারি শুল্ক শুরু করে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তারপরও যেসব কথা বলা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। আমাদের অর্থমন্ত্রী বিচ্ছিন্ন কেউ নন। তিনি এদেশেরই মানুষ। এরপরও আলোচনার সুযোগ রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজেট দেশের মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। বাজেট নিয়ে এখন কোনো ভীতি নেই। তবে সমালোচনা রয়েছে। সব আলোচনা-সমালোচনা গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হবে।

তিনি বলেন, বাজেটে প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বাস্তবায়ন। বাস্তবায়নে কিছু সমস্যা রয়েছে। বাজেট বাস্তবায়নে বড় চ্যালেঞ্জ প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। আমরা চাই এক ব্যক্তি একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু আমরা দেখেছি একজন মানুষ সাত থেকে আটটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। তা ঠিক নয়। বাজেটের ঘাটতি নিয়ে কথা হচ্ছে। এটা নিয়ে চিন্তুা করার কিছু নেই। আমাদের অর্থনীতির ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে বেসরকারি খাত। আমরা চাচ্ছি স্বাবলম্বী হব। আমরা সরকারি ও বেসরকারিরা একসঙ্গে কাজ করব।

রেমিটেন্স প্রসঙ্গে মান্নান বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ আমাদের অর্থনীতির প্রধান স্তম্ভ। তাই প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠাতে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আমরা পূর্ব দিকে জোর দিতে চাই। আমরা কখনোই পশ্চিম দিকে মধ্যপ্রাচ্যের অংশ নই। আমরা চীন ও জাপানসহ সংশিষ্ট দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের নিকটবর্তী প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চাই। আমরা ভারতের বাজার নই। আমরা উভয়েই উভয় দেশের বাজার। এমনকি মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চাই।

এইচএস/এসআর/পিআর

আরও পড়ুন