ঢাকায় আসছেন কমনওয়েলথভুক্ত অঞ্চলের ৪৫ এমপি
কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) ২৬তম বার্ষিক পার্লামেন্টারি সেমিনার এবার রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। ‘সংসদীয় গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ এই মূলভাবকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৮ মে সোমবার সকালে চারদিনব্যাপী এ সেমিনারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। বৃস্পতিবার সংসদ সচিবালয় থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এই সম্মেলনে এবার কমনওয়েলথভুক্ত ৯টি অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের ২৭টি শাখার প্রায় ৪৫ জন পার্লামেন্টারিয়ান ও প্রতিনিধি অংশ নিবেন। সেমিনারের ১৩টি সেশনের বিষয়বস্তুর উপর কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান চেয়ারপারসন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ আমন্ত্রিত দেশি-বিদেশি পার্লামেন্টারিয়ানরা মূল বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। বাংলাদেশের পাঁচজন অভিজ্ঞ সংসদ সদস্য পাঁচটি সেশনে মূল বক্তা হিসেবে অংশ নিবেন।
সংসদীয় পদ্ধতি ও চর্চার ওপর বার্ষিক ওয়েস্টমিন্স্টার সেমিনারগুলোর মাধ্যমে কমনওয়েলথভুক্ত পার্লামেন্টের এমপিরা সংসদীয় গণতন্ত্রের উৎপত্তি ও মৌলিক উপাদান সম্পর্কে গভীর ও বিস্তৃত ধারণা অর্জন করে থাকেন। ১৯৮৭ সালের মার্চে জিব্রাল্টারে অনুষ্ঠিত সিপিএ নির্বাহী কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি বছর কমনওয়েলথের বিভিন্ন অঞ্চলে এই বার্ষিক কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রথম সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৯ সালে জাম্বিয়ায়। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে ২০১৬ সালে ২৭তম সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
১৯১১ সালে সিপিএ-র যাত্রা শুরু হয় এবং বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে এর সদস্যপদ লাভ করে। ২০০৩ সালে ঢাকায় সিপিএ-র ৪৯তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ২০১৪ সালের অক্টোবরে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এশিয়া অঞ্চলের স্বাগতিক দেশ হিসেবে ২৬তম এ বার্ষিক সেমিনারের আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং অধিকতর গুরুত্ব বহন করছে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার ও অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা প্রতিষ্ঠায় সিপিএ-এর ভূমিকা অপরিসীম।
এইচএস/আরএস/আরআই