নতুন ভ্যাট আইন ২০১৯ সালে বাস্তবায়নের দাবি
নতুন ভ্যাট আইন ২০১৯ সালে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ দাবি জানান সংগঠনটির চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, নতুন আইনে ভ্যাট আদায় পুরোটাই প্রযুক্তি নির্ভর। আইনটি বাস্তবায়নে ২ লাখ ইসিআর মেশিন প্রয়োজন। তবে এখন পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি কোনো সংস্থাই এ মেশিন আমদানি করার পরিকল্পনা করেনি। ১ জুলাই বাকি মাত্র ২২ দিন। এ সময় মধ্যে আইনটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তাই নতুন ভ্যাট আইন আগামী ২০১৯ সালে বাস্তবায়ন করতে হবে।
হেলাল উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাবস্থা বিরাজ করছে। নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে ব্যবসায়ীরা শঙ্কায় আছেন। নতুন কোনো বিনিয়োগকারীরা ব্যবসায় আসছেন না। এ অবস্থায় আইনটি বাস্তবায়ন হলে সার্বিক অর্থনীতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পরতে পারে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসা ছেড়ে দেবেন। ফলে চরম অর্থনৈতিক স্থরিবতা সৃষ্টি হবে।
এ সময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে ২০১৯ সালে ভ্যাট বাস্তবায়নের বেশকিছু যুক্তি তুলে ধরেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- প্রযুক্তি নির্ভর এ আইনটি বাস্তবায়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবআর) ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা ছিল। এ জন্য মোটা অঙ্কের বরাদ্দও ছিল। এনবিআর বলছে, তারা ২ লাখ ব্যবসায়ীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ২০০ ব্যবসায়ীও প্রশিক্ষণ পাইনি। ফলে প্রযুক্তি নির্ভর আইনটি প্রশিক্ষণ ব্যতিত বাস্তবায়ন অসম্ভব।
দোকান মালিক সমিতির দাবি, নতুন আইনটি অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বুঝেন না। বাজেট প্রস্তাবে টার্নওভার ট্যাক্স ৩৬ লাখ পর্যন্ত ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা রয়েছে। একই সঙ্গে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত ৪ শতাংশ ভ্যাট প্রদানের শর্ত দেয়া হয়েছে। তবে এটা কে বা কারা নির্ধারণ করবে তার কোনো দিক নির্দেশনা নেই।
হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, নতুন ভ্যাট আইন যারা প্রণয়ন করেছে তারা বলেছেন, আইনটি বাস্তবায়নে প্রথম দিকে সমস্যা হবে। যা পরে ঠিক হয়ে যাবে। বর্তমান সরকারের মেয়াদ আর দেড় বছর আছে। এ সময় কোনো সমস্যা হলে তার সমাধান করা সম্ভব হবে না। তাই আমরা বলছি আগামী দেড় বছর ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে ২০১৯ সালে নতুন সরকার এ আইনটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে।
তিনি বলেন, সরকার আট বছর সফলভাবে সরকার পরিচালনা করেছে। ১৯ সালে নির্বাচন। এমন সময় একটি আইন বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে যা, নিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। আইনটি প্রণয়নে সমস্যা হবে জেনেও কেন সরকার এটি বাস্তবায়ন করছে তা জানি না।
এ সময় সংগঠনের মহাসচিব মো. জহিরুল হক ভুঁইয়াসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসআই/আরএস/জেআইএম