‘গ্রামের মানুষও এখন রাইস কুকারে রান্না করে খায়’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন নিয়ে বেশি ভাবেন। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তিনি রাজনৈতিক মতাদর্শ বিরোধীদের সঙ্গে এক ধরনের ‘সমঝোতা’ করতেও রাজি।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নেতা ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী জানান, দুই তিন দশক আগের তুলনায় গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রায় উন্নয়ন দেখতে পেয়ে তিনি খুশি। কয়েক বছর আগে দেশের বিদ্যুতের চাহিদা হিসাব করতে গিয়ে তিনি ভেবেছিলেন গ্রামে বিদ্যুৎ গেলে শুধু একটি বাল্ব কিংবা একটি ফ্যান চালাতে যতটুকু বিদ্যুৎ প্রয়োজন ততটুকু দিলেই চলবে। কিন্তু তার ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে গ্রামের অসংখ্য মানুষের বাড়িতে টিভি ও ফ্রিজ চলছে। শুধু তাই নয়, তারা এখন রাইস কুকারে ভাত রান্না করে খাচ্ছেন।
এ কারণে তিনি বিদ্যুৎ সচিবকে ডেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে ব্যাপারে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করতে বলেছেন।
তিনি জানান, সম্প্রতি সিলেটের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি লক্ষ্য করেছেন ওই এলাকার গৃহবধূদের পরনে শাড়ি কিংবা ম্যাক্সি জাতীয় পোশাক ও পায়ে জুতা।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ১৯৮১ সালে যখন দেশে ফিরে এসেছিলেন তখন তিনি একই এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে নারীদের গায়ে বিদেশ থেকে আমদানি করা পুরনো শাড়ি ও খালি পায়ে দেখেছিলেন। বর্তমানে দেশের সার্বিক ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে এ পরিবর্তন এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় আরও জানান, তার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। তিনি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করেন না। এখন তিনি গ্রামের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে ও তাদের উন্নয়নে আরও কি করা যায় তাই নিয়েই ভাবেন।
এমইউ/এসআর