ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মোদি ও লিউয়ের সফর : এজেন্ডায় নেই তিস্তা

প্রকাশিত: ০৬:০৭ এএম, ১৩ মে ২০১৫

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী লিউ ইয়ানদংয়ের সফর প্রস্তুতি শুরু করেছে ঢাকা। ১৫ দিনের ব্যবধানে ভারত ও চীন সরকারের শীর্ষ দুই নেতার সফর প্রস্তুতি প্রায় একসঙ্গেই শুরু করেছে বাংলাদেশ। মোদির আগে ঢাকা সফরে আসা লিউ ইয়ানদংয়ের সঙ্গে আলোচনার এজেন্ডা প্রস্তুত করা হয়েছে।

জানা গেছে, বেইজিংয়ের সঙ্গে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিষয়ে নতুন করে ৩টি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা। আগামী ২৪শে মে চীনের শীর্ষ ওই রাজনীতিকের ঢাকা সফরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উত্থাপন করবেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। তবে বহুল আলোচিত বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের বিষয়টি এবারের আলোচনার এজেন্ডায় থাকছে না বলে জানিয়েছেন সরকারের নীতিনির্ধারণী একাধিক কর্মকর্তা।

এদিকে ওই সফর শেষ হওয়ার মাত্র ১৫ দিনের মাথায় ঢাকা আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৬ই জুন তার ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে। বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশের সরকার প্রধানের সফরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। দেশটির সংসদে সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘ ৪১ বছর ধরে ঝুলে থাকা স্থলসীমান্ত চুক্তি বা এলবিএ অনুমোদিত হয়েছে।

বহুল প্রতীক্ষিত ওই চুক্তিটির অনুমোদনের মুহূর্তকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ল্যান্ডমার্ক মুমেন্ট বলা হচ্ছে। ঐতিহাসিক ওই চুক্তি সইয়ের পর আসছেন মোদি। সঙ্গত কারণেই তার কাছে বাংলাদেশের প্রত্যাশা অনেক বেশি। স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল পাসের পর এবার তিস্তাচুক্তিতে তিনি নজর দেবেন এমনটাই প্রত্যাশা দেশবাসীর।

কিন্তু যে খবরাখবর পাওয়া যাচ্ছে তা হলো- তিস্তা নিয়ে এখনও দিল্লির তরফে ইতিবাচক কোন সিগন্যাল পাওয়া যায়নি। তাই ওই ইস্যুর চেয়ে অন্যান্য বিষয়ে গুরুত্ব দিতে চাইছেন ঢাকার কর্মকর্তারা। হাই প্রোফাইল ওই সফরে ৭-৮টি নতুন চুক্তি এবং অন্তত ৩টি পুরাতন চুক্তির রেটিফাই করতে চায় বাংলাদেশ।

এবিষয়ে বুধবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডাকা হয়েছে। পররাষ্ট্র সচিবের সভাপতিত্বে বিকেলে সভাটি হবে। অবশ্য তার আগে পররাষ্ট্র সচিব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাবেন। সেখানে সরকার প্রধানকে সফর প্রস্তুতির বিষয়টি ব্রিফ করবেন এবং তার কাছ থেকে দিকনির্দেশনা নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এআরএস/এমএস