ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

গুম হওয়া সন্তানের মার কান্না প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌঁছায় না?

প্রকাশিত: ১০:৪৮ এএম, ০৩ জুন ২০১৭

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, মা কাঁদেন, শিশু ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, পরিবারের সদস্যরা আর্তনাদ করে। এসব কী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শোনেন না। গুম হওয়া সন্তানের মায়ের কান্না প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌঁছায় না?

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গুম হওয়া পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

‘মায়ের ডাক- গুম ও খুন আর নয়। ঈদুল ফিতরের আগে গুম হওয়া সন্তানদের মায়ের কোলে ফিরিয়ে দাও` ব্যানারে দাঁড়ানো স্বজনদের সারিতে দাঁড়িয়ে মান্না বলেন, ‘আমিও হারিয়ে গিয়েছিলাম। ২১ ঘণ্টা আমার কোনো খোঁজ ছিল না। এরপর ফিরে এসে পরিবারের লোকদের চোখে দেখেছি, দেখেছি তাদের আর্তনাদ।’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন-স্বজন হারানোর ব্যথা আমি বুঝি। কিন্তু অন্যদের স্বজন হারানোর ব্যথা তিনি বোঝেন না। গুম হওয়া লোকদের খুঁজে আনার দায়িত্ব প্রশাসনের। কিন্তু তারা সেই দায়িত্ব পালন করে না। পুলিশ সরকারের হুকুমের বাইরে কোনো কাজ করে না।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্না বলেন, বর্তমানে হারিয়ে যাওয়া স্বজনরা পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে ভয় পাচ্ছেন। কারণ হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির বিষয়ে প্রশাসন বলতে পারে তিনি জঙ্গিবাদে জড়িয়ে গেছেন কি না? জঙ্গি এমন এক শব্দ যা শুনলে সবাই চুপ হয়ে যায়।`

তিন বছর আগে গুম হয়ে যাওয়া পারভেজ হোসেনের ছোট্ট মেয়ে নিধী তার মা ফারজানা আক্তারের সঙ্গে বাবার খোঁজে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় দাঁড়ায়।

সে বারবার বলছিল, `আমার বাবাকে ফিরিয়ে দাও। বাবা ছাড়া ভালো লাগে না। আমরা বাবার সঙ্গে মার্কেটে যেতে চাই, তার সঙ্গে ঈদ করব।`

এ সময় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। বেআইনিভাবে রাষ্ট্রের নাগরিকদের আজ হত্যা করা হচ্ছে। কান্না নয়, চিৎকার করতে হবে, গুম হয়ে যাওয়া স্বজনদের দাবি তুলতে হবে।

বাংলাদেশ মানবাধিকার সমিতির সভাপতি মুঞ্জুর হোসেন ঈসার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, গুম হওয়া চঞ্চলের স্ত্রী রেশমা আক্তার, ছোট ছেলে আহাদ, তারার স্ত্রী বেবি আক্তার, সেলিম রেজা পিন্টুর বড় ভাই ইসলাম রেজা, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, আইন ও সালিস কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন প্রমুখ।

এএস/এমএমএ/ওআর/এমএস

আরও পড়ুন