ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্কে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে অগ্রাধিকার

প্রকাশিত: ০২:১৫ পিএম, ০২ জুন ২০১৭

দীর্ঘ ৬ বছর পর তুরস্কের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ। রোববার পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক বা ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) বসবে দু’দেশ। দ্বিপক্ষীয় এ বৈঠকটিতে দুই দেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা এফটিএ অগ্রাধিকার পাচ্ছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র বলছে, এই দীর্ঘ ছয় বছরের বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। তবে দুই দেশ সেগুলো কাটিয়ে উঠে বৈঠকে বসছে। বৈঠকে সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে দ্বিপক্ষীয় সব বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হবে।

এ বৈঠক উপলক্ষে রোববার ঢাকায় আসছেন তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি উমিত ইয়ালসিন। এদিন ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এফওসিতে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। আঙ্কারায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আল্লামা সিদ্দিকীও এ বৈঠক উপলক্ষে ঢাকায় উপস্থিত হয়েছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে জাগো নিউজকে বলেন, ‘পুরাতন সমস্যা ভুলে দু’দেশই এখন সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চায়। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এগুলোর মধ্যে দু’দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।’

জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘানায় এফওসিতে বৈঠকের পাশাপাশি ইফতার হওয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এদিকে ঢাকাস্থ তুরস্ক দূতাবাস জানিয়েছে, ৪ জুন সকালে ঢাকায় দেশটির নতুন চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করা হবে। সফররত আন্ডার সেক্রেটারি এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

তুরষ্ক দূতাবাস সূত্র জানায়, বাংলাদেশের খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে নতুন প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতি, কারখানা ও কারিগরি সহযোগিতা রফতনি করার সক্ষমতা রয়েছে তুরষ্কের। এছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে জাইন ও এক্সসেসরিজ, সিরামিক, হোম-টেক্সটাইলের কারিগরি সহযোগিতা দিয়ে দামি পণ্য বাংলাদেশ থেকে প্রস্তুত করা।

পরবর্তীতে তা তুরষ্কে রফতানির সুযোগ রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থীতিশীলতা, শ্রম অধিকার, তৈরি পোশাক শিল্পের কাজের পরিবেশ, ব্যাংকিং সিস্টেম, যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন নিয়ে আগ্রহ রয়েছে তুরষ্কের।

জানা গেছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তুরষ্কের দেশি শিল্প সংরক্ষণে সেফ গার্ড ডিউটি বাংলাদেশি পণ্যের জন্য শিথিল করা, স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতা, বাংলাদেশ থেকে ওষুধ রফতানি, ঢাকা ও ইস্তাম্বুলের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট, বিনিয়োগ সুরক্ষা, ভিসা জটিলতা দূর করাসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসবে ওই আলোচনায়।

জেপি/এমএমএ/পিআর

আরও পড়ুন