মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যায় জড়িতদের শাস্তি দাবি
কুমিল্লার মুরাদনগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটি।
শুক্রবার রাজধানীর শান্তিনগরে সংগঠনের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুজ্জামান শাহীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় নেতার মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. কাজী সাইফুদ্দীন, শহীদ সংসদ সদস্য নুরুল হক হাওলাদারের কন্যা জোবায়দা হক অজন্তা, সহ-সভাপতি ওমর ফারুক সাগর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর রশিদ রনি, আব্দুল্লাহ-আল মামুন, আল-আমিন মৃদুল ও আজহারুল ইসলাম অপু, কোষাধ্যক্ষ ও দফতর সম্পাদক আহমাদ রাসেল, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রতন, কেন্দ্রীয় সদস্য শাহেদ ইমন ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
নেতারা বলেন, যাদের আত্মত্যাগে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি সেসব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা কোনভাবেই সহ্য করা হবে না। এই বীর মুক্তিযোদ্ধা তার নিজ এলাকা মুরাদনগর উপজেলার বেশ কিছু ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, সচিবালয়সহ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলে লিখিত অভিযোগও দিয়েছিলেন।
প্রভাবশালী একটি চক্র মুরাদনগরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আসল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করছে। সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগও তিনি করেছিলেন। ১৯ মে শুক্রবার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউপির মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে অংশ নিয়ে তিনি ওই ইউনিয়নের বেশকিছু ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সামনেই তাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়। পরে তিনি হামলাকারী ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাসহ তাদের সন্তানদের বিরুদ্ধে ২২ মে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
রাজধানীর ধলপুর এলাকায় বাসার কাছে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার সময় তার কাছে থাকা একটি ব্যাগ হত্যাকারীরা ছিনিয়ে নেয়, যাতে ওইসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ডকুমেন্ট ছিল। এই সংঘবদ্ধ চক্রই তাকে হত্যা করেছে বলে নিহতের পরিবারের দাবি।
মরহুম মুক্তিযোদ্ধার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এফএইচএস/এমআরএম/পিআর