শৈশব রক্ষায় বাংলাদেশ ১৩৪তম
বিশ্বের ১৭২টি দেশের মধ্যে শিশুদের শৈশব রক্ষার এক গ্লোবাল প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৪তম। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক শিশু দিবস উপলক্ষে সেভ দ্য চিলড্রেনের `চুরি হয়ে যাওয়া শৈশব` বিষয়ে একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়।
শিশু-কিশোরদের শৈশব কোথায় সবচেয়ে নিরাপদ আর কোথায় অরক্ষিত এ বিষয়ে বৈশ্বিক সূচকে দক্ষিণ এশিয়াতে বাংলাদেশের অবস্থান মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার ও ভারতের পেছনে। তবে নেপাল, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের থেকে এগিয়ে।
এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে মাত্র ১০টি দেশে পৃথিবীর দুই তৃতীয়াংশ খর্বাকায় শিশু বাস করে। এর মধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি ৪৮ দশমিক ২ মিলিয়ন। এছাড়া দশটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান অষ্টম, যেখানে প্রায় ৫৫ লাখ খর্বাকায় শিশুর বসবাস।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বিশ্বের প্রায় ৭শ মিলিয়নের বেশি শিশু শৈশব নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। মূলত ৮টি কারণে শিশুরা শৈশব হারিয়ে ফেলছে, যা ইচ্ছে করলে যেকোনো সরকার সমাধান করতে পারে।
শিশুর শৈশব চুরি হয়ে যাওয়া ৮টি কারণ উল্লেখ করেছে এই বেসরকারি সংস্থা। এর মধ্যে প্রথম দিকে স্থান পেয়েছে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যু (নিউমেনিয়া, ম্যালেরিয়াসহ কিছু রোগ), এরপর অপুষ্টিজনিত কারণ, স্কুলে যেতে না পারা, শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ, অল্প বয়সে গর্ভধারণ, রাজনৈতিক সংঘাত, বিভিন্ন ধরনের অসংঘত হত্যা।
সেভ দ্য চিলড্রেনের ডিসিডি ডা. ইশতিয়াক মান্নান হারিয়ে যাওয়া শিশুর শৈশবের বিষয়ে নানা আলোচনা করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্ক পিয়াসসহ সংস্থার বিভিন্ন কর্মকর্তা।
এএস/বিএ