ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পীর-ফকিরদের হত্যায় সংগঠিত হচ্ছিল জেএমবি

প্রকাশিত: ১২:০৩ পিএম, ৩১ মে ২০১৭

পীর-ফকিরদের হত্যার উদ্দেশ্যে সংগঠিত হচ্ছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির একটি গ্রুপ। তারা মনে করত পীর ও ফকিররা ইসলামের আদর্শের পরিপন্থী।

ঢাকার একটি পীরের মাজারে হামলার ছকও কষেছিল তারা। এজন্য ইতোমধ্যে ছদ্মবেশে ওই পীরের মাজারটি রেকি (পর্যবেক্ষণ) করেছিল গ্রুপটি।

আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে বুধবার এসব তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব-২-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ইফতেখারুল মাবুদ। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে র‌্যাব-২ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ মে) মধ্যরাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বেগুনবাড়ির পোস্ট অফিসের সামনের রাস্তা থেকে জেএমবির তিন সদস্যকে আটক করে র‌্যাব-২।

আটকরা হলেন- মফিজুল ইসলাম ওরফে তুষার ওরফে তাওহিদ (২৯), রকিবুল ইসলাম ওরফে রকিব মোল্লা (২৩), ইলিয়াছ আহমেদ (১৯)। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকদ্রব্য, ছুরি, চাপাতি ও জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ইফতেখারুল মাবুদ বলেন, ২০১৬ সালের ১৩ মার্চ ইয়াছিনসহ জেএমবির পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১০। মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার হওয়া গ্রুপটির নেতা ছিলেন ইয়াছিন। পরে ইয়াছিনের অবর্তমানে দলের দায়িত্ব নেন সোহেব ওরফে সোয়াইব। এই গ্রুপে ১৫ থেকে ২০ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। তারা গত দুই বছর ধরে সংঘবদ্ধ হচ্ছে। গত রাতে র‌্যাবের অভিযানে তিনজনকে আটক করা গেলেও আরও সাত থেকে ৯ জন পালিয়ে যায়। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শেরপুরের বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম এলাকার ঘাইলারা শামসুল হক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দশম শ্রেণিতে টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করে। পরে সে ২০০৩ সালে নরসিংদীর একটি টেক্সটাইল মিলে কাজ শুরু করে। ছয় মাস পর গাজীপুরের একটি সোয়েটার কোম্পানিতে কাজ নেয়। ২০১৩ সালে জঙ্গি নেতা ইয়াছিনের হাত ধরে সে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে।

ফরিদপুরের বাসিন্দা রকিবুল ইসলাম দ্বিতীয় শ্রেণি পাসের পর গোপালগঞ্জ কুসুমদিয়া কওমি মাদরাসায় ভর্তি হয়ে নূরানি পাস করেন। ২০১২ সালে গাজীপুরের সাইনবোর্ডে একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি নেন। সেখানে কর্মরত অবস্থায় পার্শ্ববর্তী একটি মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে জঙ্গি নেতা ইয়াছিনের সঙ্গে পরিচয় হয়। ইয়াছিন তাকে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করেন। জেএমবিতে যোগদানের পর সংগঠনের জন্য সদস্য ও অর্থ সংগ্রহ করেন তিনি।

শেরপুরের বাসিন্দা ইলিয়াছ ২০১৩ সালে দাখিল পাস করে বেকার ছিলেন। ২০১৬ সালে চাকরির জন্য চাচাত ভাই মফিজুল ইসলামের কাছে আসেন। মফিজুল ইসলামের মাধ্যমেই ইলিয়াছ জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েন।

র‌্যাব-২-এর অধিনায়ক বলেন, এ গ্রুপের বর্তমান নেতা সোয়াইবসহ অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে। মঙ্গলবার রাতে আটক তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।

এএস/এআর/জেডএ/এএইচ/এমএস

আরও পড়ুন