স্পিকারের রুলিং সম্পর্কে জানতে ভারত যাচ্ছেন সংসদের কর্মকর্তারা
বিভিন্ন সময় স্পিকারের দেওয়া রুলিং সম্পর্কে জানতে ভারত যাচ্ছেন জাতীয় সংসদের আট সদস্যের প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশের স্পিকারদের বিভিন্ন সময় দেওয়া রুলিং যাচাই-বাছাই করে তা সংগ্রহ করার জন্য এই আট সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। ১৭ মে তিন দিনের সফরে ভারত যাচ্ছেন তারা।
সংবিধান ও সংসদের কার্যপ্রণালী বিধিতে বলা হয়েছে, স্পিকারের রুলিং হচ্ছে সংসদীয় কার্যে সর্বোচ্চ সংসদীয় রায়। রুলিং নিয়ে আদালতে কোনো চ্যালেঞ্জ করা যায় না। এমনকি রুলিং পুনর্বিবেচনারও সুযোগ থাকে না। বিচারিক আদালতের আইনের সঙ্গে কেবল রুলিংকে তুলনা করা যেতে পারে। সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ৩১৬ নম্বর পয়েন্টে স্পিকারের অবশিষ্ট ক্ষমতায় রুলিংয়ের বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘সংসদ এবং সংসদের কমিটিসমূহের কার্যাবলী সম্পর্কিত বিষয় হইতে কোনো বিষয় উদ্ভূত হইলে এবং সে সম্পর্কে এই বিধিসমূহে নির্দিষ্ট কোনে বিধান না থাকিলে সে ব্যাপারে স্পিকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন এবং স্পিকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।’
কিন্তু এতদিন বিগত স্পিকারদের রুলিং সংগ্রহ করা হয়নি। এজন্য স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সব রুলিং সংগ্রহ করার জন্য আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন।
জাতীয় সংসদের লেজিসলেটিভ ড্রাফটসম্যান এমএম ফজলুর রহমানকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ইতিমধ্যেই সোমবার পর্যন্ত ৩৯টি বৈঠক করেছে। তারা বর্তমানে অষ্টম সংসদের রুলিং নিয়ে কাজ করছেন। এরপর ‘স্পিকারের রুলিং (১৯৭৩-২০০৯)’ নামে একটি প্রকাশনা বের করা হবে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল লোকসভার অধীনে ব্যুরো অব পার্লামেন্ট স্টাডিজ অ্যান্ড ট্রেনিং এর আওতায় স্পিকারের রুলিং, স্টেন্ডিং অর্ডার ও ডিসিশন ফ্রম চেয়ার বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেবেন। এটি কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) অর্থায়নে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশসহ এশিয়ার অন্যান্য সংসদ থেকে ৫০ জন এই প্রশিক্ষণে অংশ নেবে বলে জানা গেছে।
এইচএস/একে/আরআই