ডিসিসি মার্কেটে ১০ গ্রাহকের স্বর্ণ ফেরত দিয়েছে আপন জুয়েলার্স
রাজধানীর গুলশান-১ এর ডিসিসি মার্কেট শাখায় মেরামত করতে দেয়া মোট ৩৮ গ্রাহকের মধ্যে ১০ জনের স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দিয়েছে আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে গ্রাহকদের স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দেয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রাহকরা ডিসিসি মার্কেটের আপন জুয়েলার্সের শাখায় আসছেন। মেরামত করতে দেয়া স্বর্ণালঙ্কার ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন। তবে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে মেরামত করতে দেয়া রশিদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে নিশ্চিত হয়ে প্রকৃত গ্রাহকদের কাছে স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দিচ্ছেন।
শুল্ক গোয়েন্দার কর্তব্যরত সহকারী পরিচালক আরজিনা খাতুন বলেন, গতকাল (রোববার) ৩৮ জন গ্রাহককে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার ফিরিয়ে নিতে ডিসিসি মার্কেটের আপন জুয়েলার্সের শাখায় আসতে বলা হয়েছে। আজ (সোমবার) সকালে আবারও ফোন করে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র ১০ জন গ্রাহক স্বর্ণালঙ্কার ফেরত নিয়ে গেছেন। বাকিদের কল করে আসতে তাগিদ দেয়া হচ্ছে। শুল্ক গোয়েন্দা সাধারণ কোনো গ্রাহকের ক্ষতি চায় না।
তিনি আরও বলেন, গ্রাহকদের স্বর্ণ ফেরত দিতে আপন জুয়েলার্সের ৫টি শো রুমে আমাদের টিম উপস্থিত রয়েছে। আমাদের কাছে ৫টি শাখায় মোট ১৮২ জন গ্রাহকের তালিকা রয়েছে। আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির নের্তৃবৃন্দের উপস্থিতিতে স্বর্ণ মেরামতের রশিদ এবং তাদের পরিচয় পরীক্ষা করে স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দেয়া হচ্ছে।
শুল্ক গোয়েন্দা সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, আপন জুয়েলার্সের প্রকৃত গ্রাহকদের স্বর্ণালঙ্কার ফেরতের সময় গত সপ্তাহে নতুন করে আজ সোমবার (২৯ মে) পুনর্নির্ধারণ করা হয়। আপন জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ১৮২ জনের স্বপক্ষে প্রায় সাড়ে ৩ কেজি ফেরতযোগ্য স্বর্ণের হিসাব পাওয়া গেছে। এ সকল গ্রাহকদের রশিদ ও ব্যক্তিগত পরিচয়পত্রসহ (এনআইডি/পাসপোর্ট) উপস্থিত হতে অনুরোধ করা হয়।
উল্লেখ্য, রাজধানীর বনানীর ধর্ষণের ঘটনার জের ধরে গত ১৪ ও ১৫ তারিখে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুল্ক গোয়েন্দারা প্রায় ১৩.৫ মণ স্বর্ণালংকার ও ৪২৭ গ্রাম ডায়মন্ড জব্দ করেন। এখন পর্যন্ত মালিক পক্ষ এসবের কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি।
জেইউ/আরএস/আরআইপি