ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন

প্রকাশিত: ০৬:১৮ পিএম, ২৮ মে ২০১৭

গত ক’দিন ধরেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে  ভয়াবহ লোডশেডিং বিরাজ করছিল। তবে রোজার দিন থেকেই সে লোডশেডিং আর নেই। সঙ্গে যোগ হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী কয়েকদিনে উৎপাদন আরো বাড়বে। ফলে সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানো যাবে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ওয়বসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ওয়েবসাইটে বলা হয়, শনিবার রাত ১০টায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ৩৫৬ মেগাওয়াট। যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।

এরপর রোববার আরো একটি ভালো খবর দেয় পিডিবি। সংস্থাটি জানিয়েছে, রোববার সারা দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১০ হাজার ৯০ মেঘাওয়াট। যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।

এর আগে গতবছর ৩০ জুন বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রথমবারের মতো ৯ হাজার মেগাওয়াটের মাইলফলক স্পর্শ করে। সেদিন মোট ৯ হাজার ৩৬ মেগাওয়াট বিদুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়।

সারা দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের একের পর এক সফলতা আসলেও চলতি বছরের মার্চের পর থেকেই হঠাৎ করে দেশের বিভিন্ন লোডশেডিং ভয়াবহ আকার ধারণ করে। সর্বশেষে গত সপ্তাহেও বিদ্যুতের বিপর্যয় দেখা দেয়। এ সময় বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট।

এছাড়া চলতি মাসের প্রথম দিকে ঝড়ের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি সঞ্চালন লাইনের ক্ষতি হয়। এগুলো মেরামতের সময় জাতীয় গ্রিডের আরেকটি সঞ্চালন লাইনে বিভ্রাট দেখা দেয়। ফলে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ জনপদের অধিকাংশ জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।

এক পর্যায়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদ সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, রমজানের আগেই সারা দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। দেশের বেশ কয়েকটি উৎপাদন কেন্দ্র  হঠাৎ করেই বিকল হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের এ ঘটতি দেখা দিয়েছে।

পিডিবির ওয়েবসাইটে শনিবারের পূর্বাভাসে সর্বোচ্চ চাহিদা ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। এ হিসেবে দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে মাত্র ৪৪৪ মেগাওয়াট বেশি। তবে রোববার এ রেকর্ড ভেঙে দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে পিডিবি।

এদিন সর্বোচ্চ উৎপাদন ১০ হাজার ৯০ মেগাওয়াট। যা চাহিদাকেও অতিক্রম করেছে। বড়পুকুরিয়া, ভেড়ামারা, মেঘনা ও সিরাজগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুনরায় চালু হওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে এ রেকর্ড অর্জন করেছে পিডিবি। প্রচণ্ড তাপদাহ আর বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে মানুষের যে ভোগান্তি ছিল রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন সে ভোগান্তি কমিয়েছে। জনমনে এসেছে স্বস্তি।

পিডিবি`র জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক সাইফুল হাসান চৌধুরী জাগো নিউজকে জানান, দেশের ১০৮টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের মধ্যে ২০ টি কেন্দ্র বন্ধ থাকায় লোড শেডিং বেড়েছিল। তবে এরই মধ্যে বড় কেন্দ্রগুলো মেরামত করে উৎপাদন শুরু হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বাকি কেন্দ্রগুলো চালু হলে পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

এর আগে জাতীয় সংসদে এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশে ১০৮ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছে। উৎপাদন ক্ষমতা ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৫১ মেগাওয়াটে।

রমজানের আগে একের পর এক লোডশেডিং নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন রাজধানীবাসী। তবে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সে দুশ্চিন্তা কমেছে।

এমএসএস/এমএমএ

আরও পড়ুন