‘হায় হায় মেয়র সাবের তো রোজা ভাইঙা যাইব’
‘হায় হায়, আমাগো মেয়র সাব য্যামতে ছব খাওন হুইংগা দেখবার লাগছে, হের তো রোজা ভাইঙা যাইব।’
রোববার বিকেলে রমজানের প্রথম দিন রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী চকবাজারের ইফতার সামগ্রীর বাজার পরিদর্শনে আসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র সাইদ খোকন।
এ সময় তিনি ঘুরে ঘুরে সূতি কাবাব, চিকেন ফ্রাই, টানা পরোটা, পনির, বাদাম সরবত, ঘুঘনি, ছোলা বুট, ডিম চপ, সাসলিকসহ বিভিন্ন ইফতার সামগ্রী ভেঙে ভেঙে নাকে ঘ্রাণ নিয়ে চেখে দেখেন। ডিএসসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারাও এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
এভাবে খাবারের ঘ্রাণ শুঁকতে দেখে অদূরে দাঁড়িয়ে দুজন ঢাকাইয়া ভদ্রলোক মেয়র সাহেবের রোজা ভঙ্গ হয়ে যেতে পারে বলে এমন মন্তব্য করছিলেন।
বিকেল আনুমানিক ৪টায় মেয়র সদলবলে চকবাজারে পৌঁছান। মেয়র পৌঁছানোর আগে পর্যন্ত চকবাজারের সবধরনের ইফতার সামগ্রী খোলামেলা অবস্থায় দেদারসে বিক্রি চলছিল।
যখনই তার উপস্থিতির খবর পৌঁছে তখনই প্রায় প্রত্যেক দোকানি ইফতার সামগ্রী পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেন। মেয়রের সঙ্গে যারা এসেছিলেন তারা মেয়রকে বলছিলেন, স্যার ওরা আপনার নির্দেশনা মেনে খাবার ঢেকে বিক্রি করছে।
ইফতার কিনতে আসা রোজাদারদের ব্যাপক ভিড় থাকলেও মেয়র হাসিমুখে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন দোকান পরিদর্শন করেন। তিনি প্রায় প্রতিটি দোকানের বিভিন্ন ইফতার সামগ্রী হাতে নিয়ে ছিড়ে ছিড়ে ঘ্রাণ নিয়ে দেখেন কখন তৈরি করা হয়েছে, গরমে নষ্ট হবে কি না সে সম্পর্কে প্রশ্ন করে জানতে চান।
সূতি কাবারের দোকানে গিয়ে তিনি কী কী উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে তা জানতে চান। দোকানিদের অনেকেই তাকে কাছে পেয়ে খুশি হন এবং তার নির্দেশনা মেনে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় মেয়র তাদের হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের তৈরি খাদ্যদ্রব্যনিরাপত্তার সম্ভাব্য ঝুঁকিসমূহ মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কিত লিফলেট তুলে দেন।
তবে মেয়র চলে যাওয়ার পরপরই পলিথিন দিয়ে ঢাকা খাবার থেকে পলিথিন সরিয়ে ফেলা হয়।
এমইউ/বিএ/আরআইপি