বিমানবন্দরে স্থায়ী হচ্ছে ‘রেড ক্যাপ’ ইউনিট
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবার মানোন্নয়নে ইতিবাচক ফল আসায় ‘রেড ক্যাপ’ ইউনিটকে স্থায়ী করার চিন্তা করছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ১৭ এপ্রিল ত্রৈমাসিক দ্বিতীয় মেয়াদ শেষে পরীক্ষামূলক এ ইউনিটের আর কোনো মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। তবে সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ‘রেড ক্যাপ’ সেবাকে স্থায়ী করতে ম্যানেজমেন্টের কাছে প্রস্তাব পাঠাতে যাচ্ছে বিমানের গ্রাহক সেবা বিভাগ।
জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এএম মোসাদ্দিক আহমেদ।
তিনি বলেন, বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং অর্থাৎ বোর্ডিং পাস ইস্যু, ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং, কার্গো লোড-আনলোড, এয়ারক্র্যাফট সার্ভিসসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় ‘রেড ক্যাপ’ইউনিট কার্যকর ভূমিকা রাখছে। ব্যাগেজ হ্যান্ডেলিং এ এই ইউনিটের সফলতা হচ্ছে ৯২ শতাংশ। তাই এর কার্যক্রম বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে।
সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কাজের মধ্যে রয়েছে বোর্ডিং পাস ইস্যু, ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং, কার্গো লোড-আনলোড, এয়ারক্র্যাফট সার্ভিসসহ বিভিন্ন কার্যক্রম।
দেশের বিমানবন্দরগুলোয় ফ্লাইট পরিচালনা করা সব এয়ারলাইনসগুলোকে এ সেবা দেয় বিমান।
প্রতিটি উড়োজাহাজ অবতরণ ও উড্ডয়নের মাঝে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের পুরো বিষয় সমন্বয়ের দায়িত্ব দেয়া আছে একটি বিষেশায়িত ইউনিটের উপর। এ ইউনিটের সেবাকেই বলা হচ্ছে ‘রেড ক্যাপ’।
বর্তমানে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতি শিফটে ট্রাফিক বিভাগের বিভিন্ন শাখা থেকে তিনজন করে মোট নয়জন বিমান কর্মকর্তা ‘রেড ক্যাপ’ সেবার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন।
বিমানের অর্গানোগ্রামে এ ধরনের কোনো পদ না থাকলেও `রেড ক্যাপ` ইউনিট কীভাবে গঠন করা হলো- এ বিষয়ে বিমানের গ্রাহক সেবা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আতিক সোবাহান জানান, বিমানের জনবল কাঠামোয় `রেড ক্যাপ` ইউনিট এখনও অন্তর্ভুক্ত হয়নি। যে কারণে এখানে কোনো পদ সুষ্টি করা হয়নি। তবে কাস্টমার সার্ভিস পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়ে সফলতার পর ‘রেড ক্যাপ’ সেবা চালু করা ও ইন্টারনাল সেট আপের জন্যে আমরা ম্যানেজমেন্টের কাছে আবেদন করবো।
আরএম/এমএমএ